মুঠোফোনে ওয়েলকাম টিউন, রিংটোন, খেলার খবর, ধর্মীয় তথ্য ইত্যাদি সেবার নামে গ্রাহকের অজান্তে টাকা কাটছে টেলিকমিউনিকেশন ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস বা টি-ভ্যাস প্রতিষ্ঠান। আট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অনিয়মের সত্যতাও পেয়েছে বিটিআরসি। আরো তদন্তে গঠন করা হয়েছে সাত সদস্যের কমিটিও। তবে টিভ্যাস কোম্পানিগুলোর এমন অনিয়মের দায় নিতে রাজি নয় মুঠোফোন অপারেটররা। আর বিটিআরসি বলছে, প্রতিবেদন হাতে পেলে নেয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।
থমকে গেল স্বপ্নগুলো কিংবা এলোমেলো যত ইচ্ছেগুলো-টিউনটি সেট করুন-এমন খুদেবার্তা আসে মুঠোফোনে। আপনি চাননি আবার চালুও করেননি। তবু মুঠোফোনে চালু হয়ে গেল ওয়েলকাম টিউন। কেটে নেয়া হয় টাকা।
সময় নিউজের প্দেরতিবেদনে দেখা যায়, শের চার মুঠোফোন অপারেটরের ১৭ কোটি গ্রাহককে ওয়েলকাম টিউন ছাড়াও নিউজ অ্যালার্ট, ধর্মবিষয়ক অ্যালার্ট, গান, ভিডিও, মুঠোফোনের গেম ইত্যাদি সেবা দিয়ে থাকে ১৮৩টি প্রতিষ্ঠান।
জয় কলস বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ আহমেদ আদিতো বলেন, আমরা শতভাগ কমপ্লায়েন্স। আমাদের কোনো ধরনের কোনো নন-কমপ্লায়েন্স ইস্যু নেই। আমাদের কাছে যা যা তথ্য জানতে চেয়েছে আমরা সবকিছু কমপ্লাই করেছি।
গ্যাক মিডিয়া বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাবিরুল হক বলেন, এই তদন্তের ব্যাপারটা আসলে বিটিআরসি নিজেরাই দেখছে। তদন্ত মেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো কিছু বলা যাবে না।
টিভ্যাস সেবা নিয়ে মুঠোফোন গ্রাহকদের বিস্তর অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমে আট প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের সত্যতা পেয়েছে বিটিআরসি। মূলত স্বল্প শিক্ষিত এবং ফিচার ফোন গ্রাহকদের টার্গেট করে টিভ্যাস প্রতিষ্ঠানগুলো। মধ্যরাতের পর চালু হয় সেবা। এক্ষেত্রে টার্গেট গ্রাহককের তথ্য মোবাইল ফোন অপারেটরের মাধ্যমে কনটেন্ট প্রোভাইডার বা ডিজিটাল মার্কেটিং কোম্পানিকে সরবরাহ করা হয়।
বিটিআরসি বলছে, মুঠোফোন অপারেটররা চাইলে গ্রাহকের অজান্তে টাকা কাটতে পারত না সার্ভিস প্রোভাইডাররা।
বাংলা লিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, বিটিআরসি আমাদের ১৪ মার্চ (২০২১ সাল) এসএমসের মাধ্যমে টিভ্যাস চালু করার নির্দেশনা দেয়। আমরা এ নির্দেশনা সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন করেছি।
যেসব টিভ্যাস প্রোভাইডার এবং মোবাইল ফোন অপারেটরের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে তাদের ব্যাপারে তদন্ত করে শিগগিরই প্রতিবেদন দিবে বিটিআরসি গঠিত কমিটি।
বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র বলেন, কমিশন একটি কমিট করে দিয়েছে। সেই রিপোর্ট পাওয়ার পর সেটি পর্যবেক্ষণ করে কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
বর্তমানে দেশে ভ্যাস সেবার বাজার প্রায় ১০০ কোটি টাকার।