করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে যশোরে পশুরহাট বন্ধ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। করোনা সংক্রমণ কম না হওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। কোরবানি ঈদ ঘিরে খামারিদের মধ্যে উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন করে গড়ছে প্রতিদিন। এমন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের ঘোষণায় চলছে কঠোর লকডাউন। এরই মধ্যেই আসন্ন ঈদুল আযহা। এই ঈদের তাৎপর্য পশু কোরবানি। খামারিরা কোরবানির বাজার ধরতে নিরাপদ পদ্ধতিতে গরু ও ছাগল মোটাতাজাকরণ করেছিলেন।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্য মতে, কোরবানির জন্য যশোরে প্রায় ৭১ হাজার ২ শ’ ৪০টি গরু-ছাগলের চাহিদা রয়েছে। যার বিপরীতে পালন করা হয়েছে প্রায় ৯৫ হাজার ৪ শ’ ৮৯টি।
জেলা প্রশাসন বলছে, আতঙ্কের কিছু নেই। কোরবানির পশু বেচা-কেনার জন্য অনলাইন প্লাটফর্ম সক্রিয় করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি করোনা সংক্রমণ কম হলেই পশুহাট চালু করার অনুমতি দেয়া হবে।
এ দিকে সোমবার যবিপ্রবি জেনোম সেন্টারে করোনার টেস্টে ১৮৬ জনের নমুনাতে কোভিড-১৯ ভাইরাস পাওয়া গেছে। যশোরের ৪৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এই ফলাফল পাওয়া যায়। এদিনের শনাক্তের হার ৪১ দশমিক ৭৯। মারা গেছে মোট ১৬ জন। ফলে সংক্রমণ কতটা কমবে এবং পশুহাট চালু করা অনুমতি দেয়া সম্ভাব হবে কি-না তা নিয়ে সংশয় রয়েই যাচ্ছে।
প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলছে, অনলাইনে বিক্রি’র কথা। অন্য দিকে করোনা কমলে হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশু বিক্রি হতে পারে।
দেশের সবচেয়ে বড় পশুরহাট যশোরের শার্শার বাগআঁচড়ার সাতমাইলসহ জেলার সব পশুহাট বন্ধ রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছে এ অঞ্চলের খামারি ও বিক্রেতারা। প্রতি বছর কোরবানির আগে যশোর এবং সাতক্ষীরা অঞ্চলের গরু ব্যবসায়ী ও খামারিরা অপেক্ষায় থাকেন। এ এলাকার হাট থেকে গরু কিনে ব্যবসায়ীরা সারাদেশে গরুর প্রায় অর্ধেক চাহিদা পূরণ করে থাকেন। এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে হাটের সেই চিত্র বদলে গেছে।