চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ১১ সেপ্টেম্বর বুধবারঃ গত ১৮ জুন ২০১৯ তারিখে জহির হোসেন জেলার শিবগঞ্জের করতোয়া কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ২৪ কেজি আম হাতিবান্ধায় পাঠানোর জন্য বুকিং দিয়েছিলেন। এসব আম পরদিন অর্থাৎ ১৯ জুন ২০১-এ পৌছানোর কথা থাকলেও প্রদেয় ঠিকানায় পৌঁছেছিল ৩ দিন পর ২২ জুন রাত নয়টায়। ডেলিভারি গ্রহীতা ঝুড়ি খুলে দেখতে পান বেশির ভাগ আমই নষ্ট হয়ে গিয়েছে, যদিও হাতিবান্ধার করতোয়া কার্যালয় থেকে বলা হয় অর্ধেক আম নষ্ট হয়েছে। জহির হোসেনকে আরও বলা হয় যে, যেখান থেকে বুকিং দেয়া হয়েছে সেখানে যোগাযোগ করার জন্য। এর প্রেক্ষিতে করতোয়া কুরিয়ারের শিবগঞ্জ শাখায় যোগাযোগ করলে তাঁর ক্ষতি সম্পর্কে কোন সদুত্তর দেয়া হয়নি এবং ক্ষতিপূরণ দিতেও অপারগতা প্রকাশ করেন।
আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হয়ে ভুক্তভোগী জহির গত ২৬ জুন ২০১৯ তারিখে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তবে, অভিযোগ দায়েরকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক প্রশিক্ষণে থাকায় অভিযোগটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ কার্যালয়ে গত ২১ আগস্ট ২০১৯ তারিখে প্রেরণ করা হয়।
অবশেষে গত ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে অনুষ্ঠিত শুনানিতে প্রমাণিত হয় যে, আম পরিবহণ ও সরবরাহে করতোয়া কুরিয়ারের অবহেলা ছিল। এর প্রেক্ষিতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ধারা ৪৫ অনুযায়ী প্রতিশ্রুত সেবা যথাযথভাবে প্রদান না করার অপরাধে করতোয়া কুরিয়ার ও পার্সেল সার্ভিসের শিবগঞ্জ শাখাকে ১০,০০০(দশ হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়। উক্ত জরিমানার অর্থ গত ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে আদায় করা হয় এবং আজ ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে জরিমানার ২৫ শতাংশ অর্থাৎ ২,৫০০ (দুই হাজার পাঁচশত) টাকা অভিযোগকারী জহির হোসেনকে প্রদান করা হয়।