ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: করোনা ভাইরাস মহামারিতে আয় কমে যাওয়ায় দরিদ্র মানুষের সংখ্যা হার বেড়ে ৩৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। বৈষম্যও বেড়েছে আয় ও ভোগেরও। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সামষ্টিক অর্থনীতি পর্যালোচনায় করোনার প্রভাবের এই চিত্র উঠে এসেছে।
আজ রোববার বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এসব তথ্য জানান।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) খানা আয় ও ব্যয় জরিপ ২০১৬ অনুযায়ী তখন দারিদ্র্যের হার ছিল সাড়ে ২৪ শতাংশ। ২০১৯ সাল শেষে অনুমিত হিসাবে তা নেমে আসে সাড়ে ২০ শতাংশে। সিপিডি বলছে, করোনার কারণে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা বেড়েছে, মানুষের আয় কমেছে। ফলে দারিদ্র্যের হারও বেড়ে গেছে। সিপিডির মতে, করোনার কারণে গিনি সহগে ভোগের বৈষম্য বেড়ে দশমিক ৩৫ পয়েন্ট হয়েছে।
২০১৬ সালে এটি ছিল দশমিক ৩২ পয়েন্ট। একইভাবে আয়ের বৈষম্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে দশমিক ৫২ পয়েন্ট। ২০১৬ সালের হিসাবে এটি ছিল দশমিক ৪৮ পয়েন্ট।
সাধারণত গিনি সহগে আয়ের বৈষম্য দশমিক ৫০ পয়েন্ট পেরোলেই উচ্চ আয়ের বৈষম্যের দেশ হিসেবে ধরা হয়। সিপিডি আরও বলেছে, করোনার কারণে চলতি অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি আড়াই শতাংশ হতে পারে। তবে এই প্রবৃদ্ধিকে খারাপ বলছে না সিপিডি। কারণ ভারত, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পৃথিবীর অনেক দেশে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হতে পারে। সিপিডির মতে, এই করোনার সময়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিকে জোর না জীবন ও জীবিকার দিকে বেশি জোর দেওয়া উচিত।
সিপিডির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, করোনার কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল কিংবা সক্ষমতা অনুযায়ী উৎপাদন করতে পারেনি। এতে একদিকে চাকরি হারিয়েছেন অনেকে, অনেকে কম বেতন পেয়েছেন। তিনি বলেন, আগামী বাজেটকে বাস্তবসম্মত ভিত্তির ওপরে দাঁড় করতে না পারলে অর্থনীতির কাঠামো দুর্বল হয়ে যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির গবেষক তৌফিকুল ইসলাম খান সামষ্টিক অর্থনীতির রাজস্ব, রপ্তানি, উন্নয়ন প্রকল্প, প্রবাসী আয়, করোনা মোকাবিলার প্রণোদনা, বাজেটের অগ্রাধিকারসহ বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন