নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) শিক্ষার্থীরা অফলাইন কার্যক্রম বন্ধ করে অনলাইন কার্যক্রম চান তারা। পাশাপাশি দীর্ঘদিনের সেশন জটও যেকোনো মূল্যে নিরসন চান তারা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দাবি না মানায় সড়ক অবরোধ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (৮ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্বিবদ্যালয়ের সামনের মূল সড়কের উভয় পাশ অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের অবরোধের কারণে রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। নাবিস্কো মোড়ে ডাইভারশন করে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের ভেতর দিয়ে যান চলাচলের ব্যবস্থা করেছে ট্রাফিক বিভাগ। এতে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে ওই এলাকায়।
শিক্ষার্থীদের দাবি, পরীক্ষার চেয়ে জীবন বড়। করোনার মধ্যে পরীক্ষা তারা দিতে চান না। করোনা ও ডেঙ্গুতে তাদের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে কারও জীবন সংকটে পড়ুক তা চান না তারা।
৪৩তম ব্যাচের ছাত্র রফিকুল ইসলাম বলেন, করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। এর মধ্যেই ১১ জানুয়ারি পরীক্ষার আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। করোনা আরও বাড়লে পরীক্ষা চলাকালে যদি কেউ আক্রান্ত হয়, স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টির দায় নিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়কে। আমরা এ সংক্রান্ত চার দফা দাবি জানিয়েছি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার আমাদের দাবি মানেননি। পরীক্ষাও পেছানো হয়নি। সশরীরে পরীক্ষা আয়োজন বন্ধ করে অনলাইনে পরীক্ষা হবে কি না সে সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, হল খোলা রাখা হলে করোনার ঝুঁকি ও স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি বাড়বে। কারণ হলে একটি রুমে চার জন, ছয় জন থাকছে। নিয়ম মানা কঠিন হয়ে পড়ছে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, রেজিস্ট্রার শাহ আলিমুজ্জামান বেলাল শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে বলেছেন, করোনা যার যার, দায়ভার তার তার। এটি শিক্ষার্থীরা মানতে পারেনি। সেজন্যই তারা আন্দোলনে নেমেছেন।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়টির ৪৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. আলিফ আরাফাত সোহান বলেন, করোনার কারণে হল বন্ধ চান তারা। সেইসঙ্গে করোনাকালে পরীক্ষার নীতিমালাও চান। কোনো শিক্ষার্থীর মৃত্যু হলে দায়ভার নিতে হবে প্রতিষ্ঠানকে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এসব দাবি মানেনি। তাই তারা রাস্তায় নেমেছেন।