অনলাইন ডেস্ক: চীনে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের প্রভাবে রসুনের দাম ২০০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। সরবরাহ সংকটে রসুনের দাম ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে।
সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে বেড়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। সর্বশেষ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা। হঠাৎ রসুনের এমন আকাশচুম্বি দামে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ভোক্তা-সাধারণ। দেশি রসুনের মৌসুম শেষের দিকে, বাজারে নতুন দেশি রসুন এবং আমদানিকৃত চীনা রসুনের সরবরাহ কম থাকায় বাজারে দাম কিছুটা বেশি। তার উপর চীনে করোনাভাইরাসের কারণে বাজারে রসুনসহ বেশকিছু ভোগ্যপণ্য সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে আমদানিকারকরা বলে অভিযোগ বিক্রেতাদের। এছাড়া সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে দাম আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন তারা।
কারওয়ান বাজারের কাঁচাপণ্য আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা জানান, দেশে রসুনের বাজার পুরোটাই চীনের উপর নির্ভরশীল। চীন থেকে আসা রসুনের মান ভালো হওয়ায় এটির প্রতি চাহিদা বেশি ক্রেতাদের। দেশের চাহিদার বড় একটি অংশের জোগান দিতে হয় চীন থেকে আমদানির মাধ্যমে। করোনাভাইরাসের কারণে চীনে শিপমেন্ট বন্ধ। যারা আগে এলসি খুলেছিল, তাদের চালানও আসছে না। নতুন করে কেউ এলসিও খুলতে পারছে না। এরমধ্যে আবার চীনে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার।
বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সী বলেছেন, প্রয়োজনে আদা-রসুন ও অন্যান্য মসলা আমদানির জন্য বিকল্প বাজারের দিকে সরকার ‘নজর রাখছে’।
এদিকে গত ১২ ফেব্রুয়ারি টিসিবি ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয় জনাব বাবলু কুমার সাহা জানান, রসুন আমদানির জন্য ইতিমধ্যে নতুন বিকল্প দেশের সন্ধান পাওয়া গেছে। ক্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা সবসময় পণ্যের দাম বাড়িয়ে বাড়তি মুনাফার জন্য অজুহাত খোঁজে। করোনাভাইরাসও তেমনি এদের কোনো অজুহাত কিনা, তা খতিয়ে দেখতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে হবে। ’