ভোক্তাকণ্ঠ প্রতিনিধি: নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে একজনের মৃত্যু হয়েছে। দেশে এই প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হলো।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা বুধবার বেলা সাড়ে তিনটায় সংবাদ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, করোনাভাইরাসে মারা যাওয়া ব্যক্তি পুরুষ ও তার বয়স ৭০ বছর। তিনি যুক্তরাষ্ট্রফেরত এক আত্মীয়ের মাধ্যমে আক্রান্ত হয়েছিলেন। আগে থেকে তিনি ভুগছিলেন শারীরিক নানা রোগে ভূগছিলেন। তার উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কিডনিজনিত সমস্যা ছিল। এছাড়াও তার হার্টে স্টেন্ট পরানো ছিল। তিনি উচ্চ ঝুঁকিতে ছিলেন। । তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল বুধবার তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
মীরজাদী সেব্রিনা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হটলাইনে মোট কল এসেছে ৪ হাজার ৮৫৭টি। আর ৪৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০। কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টায় এই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪। আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ১৬ জনকে। চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নতুন আক্রান্ত চারজনের মধ্যে একজন নারী ও তিনজন পুরুষ। একজন আগে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে ছিলেন। আর বাকি তিনজন বিদেশ থেকে এসেছেন। তাদের মধ্যে দুজন ইতালি থেকে এবং একজন কুয়েত থেকে এসেছেন। ৪২ জন আছেন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে। সবমিলিয়ে আইইডিসিআর ৩৪১টি নমুনা নিয়েছে।
পরিচালক বলেন, করোনাভাইরাসের ফলে হওয়া কোভিড-১৯ রোগটি মারাত্মক নয়। কিন্তু ভাইরাসটি অত্যন্ত ছোঁয়াচে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এখানে মৃত্যুঝুঁকি থাকে না। এ ক্ষেত্রে সচেতন হওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমরা বারবার বয়স্কদের বিশেষ নিরাপত্তার জন্য বলছি। তাই এ রোগ থেকে রক্ষা পেতে হলে ঘরে থাকতে হবে। একইসঙ্গে বিরত থাকতে হবে হাত মেলানো-কোলাকুলি, জন সমাগমে যাওয়া থেকেও। করোনা প্রতিরোধে সাবধানতার পাশাপাশি জনসমাবেশ বন্ধের আহ্বানও জানান তিনি।