অনলাইন ডেস্ক: করোনাভাইরাসের বিরূপ প্রভাবে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সে বড় ধস নেমেছে। গত বছর এপ্রিল মাসে প্রথম ৮ দিনে (১ এপ্রিল থেকে ৮ এপ্রিল) দেশে মোট ৪৩ কোটি ডলারের রেমিটেন্স পাঠালেও চলতি বছর এপ্রিলের প্রথম দিনে এসেছে মাত্র ২০ কোটি ৮০ লাখ ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক কাজী ছাইদুর রহমান বলেন , “করোনাভাইরাসের কারণে রেমিটেন্সের প্রবাহ সত্যিই খুব খারাপ। সামনের দিনগুলোতে কি হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি আমরা।”
রেমিটেন্সের এই পতনের কারনে বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারে ডলার বিক্রি বাড়িয়ে দিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক এক দিনেই বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে ৪ কোটি(৪০ মিলিয়ন) ডলার বিক্রি করেছে, আর ২০১৯-২০ অর্থবছরের ৮ এপ্রিল পর্যন্ত ৬১ কোটি ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
দেশে অর্থনীতির প্রধান সূচকগুলোর মধ্যে আশার আলো জাগিয়ে রেখেছিল যে রেমিটেন্স, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে তা এখন ম্লান। বাংলাদেশের অর্থনীতি তে রেমিটেন্সের গুরুত্ব অনেক। বাংলাদেশের জিডিপিতে রেমিটেন্সের অবদান ১২ শতাংশের মতো।
গত মার্চ মাসে প্রবাসীরে ১২৮ কোটি ৬৮ লাখ ডলারের রেমিটেন্স পাঠায় , যা গত বছরের মার্চ মাসের চেয়ে ১৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ কম।এর আগে গত ডিসেম্বরে রেমিটেন্স খাত থেকে এসেছিল ১২০ কোটি ৬৯ লাখ ডলার ।
করোনাভাইরাস সারা বিশ্বে মহামারী রূপ নেওয়ার দলে অনেকেই দেশে ফিরে এসেছেন।
জানা যায়, বিশ্বজুড়ে প্রায় এক কোটির বেশি বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রয়েছেন। এর মধ্যে জানুয়ারি থেকে মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত ফিরে আসেন ৬ লাখ ৬৬ হাজার ৫৩০ জন।
করনাভাইরাসের কারনে অনেক দেশই এখন ‘লকডাউনে’ রয়েছে।কবে লকডুন উঠে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তাও এখন বলা যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য যে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রেমিটেন্স খাত থেকে ১৬ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার আসে যা ২০১৭-১৮ অর্থবছরের চেয়ে ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি ছিল