ভোক্তাকন্ঠ প্রতিবেদক: আসন্ন রোজাকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীদের আমদানি করা অনেক পণ্যের চালান দেশে এসে পৌঁছালেও সেগুলো বন্দর, ডিপো, চট্টগ্রাম এবং নারায়ণগঞ্জের ঘাটে আটকা পড়ে আছে। চলতি লকডাউনের কারনে পরিবহন ও শ্রমিক সংকটের পাশাপাশি পণ্য খালাসে যুক্ত সংস্থাগুলোর কার্যক্রম সীমিত করায় এসব পণ্য বাজারজাত করা যাচ্ছেনা।
এদিকে পণ্যের চাহিদা বাড়তে থাকায় রোজার প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাব অনুযায়ী রোজায় বেচাকেনা হয়, এমন পণ্যের প্রায় সব কটির দাম বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে মটর, মসুর, ও ছোলার দাম ১৯ শতাংশ বেড়েছে। আর সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বেড়েছে প্রায় ৫ শতাংশ। খেজুর ও চিনির যথাক্রমে ৫ শতাংশ ও ৪ শতাংশ করে দাম বেড়েছে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, এ মুহূর্তে খাদ্যশস্য ও রোজার পণ্য খালাসে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। বন্দরে, ঘাটে, সড়কে ভোগ্যপণ্য পরিবহনের কার্যক্রম যাতে সচল থাকে, তা মাঠপর্যায়ের প্রশাসনের তদারকি করা উচিত। কারণ, আমদানি পণ্য যদি ধারাবাহিকভাবে বাজারজাত করা না হয়, তাহলে এর প্রভাব পড়বে দামে।
দেশের ২৯টি ঘাটে আটকা পরে আছে পাঁচ লাখ টন ভোগ্যপণ্য। এর প্রভাবে বেড়েছে রোজার পণ্যের দাম।
এছাড়া বড় জাহাজ থেকে লাইটার জাহাজে এসব পণ্য স্থানান্তর করে নদীপথে সারা দেশের ৩৯টি ঘাটে নিয়ে খালাস করা হয়। বেশির ভাগ খালাস করা হয় চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ঘাট ও নারায়ণগঞ্জ এলাকার ঘাটগুলোতে। এসব এলাকায় শ্রমিকসংকট ও পরিবহন সমস্যার কারনে বাজারজাত করতে বেশি সময় লাগছে।