ভোক্তাকন্ঠ প্রতিনিধি: করোনা মহামারীর কারনে সাধারন ছুটি ঘোষনার পর থেকে সিমেন্ট খাতে উৎপাদন ৯০ শতাংশ কমেছে। বেশ কয়েকটি বড় সরকারি প্রকল্প ছাড়া বিক্রিও মোটামুটি বন্ধ।
বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমএ) সভাপতি আলমগীর কবির বলেন, ‘আমাদের আশঙ্কা, ছোট-বড় সরকারি-বেসরকারি সব প্রকল্প স্থগিত অথবা বিলম্বিত হবে। এতে সিমেন্টের ব্যবহার অনেক কমে যেতে পারে।’
বিসিএমএর হিসাব বলছে, সিমেন্ট খাতে দেশের চাহিদা সাড়ে ৩ কোটি মেট্রিক টন হলেও কারখানাগুলোর উৎপাদনক্ষমতা প্রায় আট কোটি টন। আর দেশে এখন সক্রিয় সিমেন্ট কারখানা রয়েছে প্রায় ৩৫ টি।
বিসিএমএ জানায়, গত মার্চে দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের পর থেকে এ পর্যন্ত সিমেন্ট খাতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকার।
এদিকে সিমেন্ট খাতের উদ্যোক্তাদের ব্যাংকঋণের পরিমাণ প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। উদ্যোক্তারা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সুদ মওকুফ চেয়েছেন। পাশাপাশি ৩ শতাংশ অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার, গ্যাস-বিদ্যুতের বিল ও অন্যান্য করের ক্ষেত্রে জুলাই থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে মাশুলবিহীন পরিশোধের সুযোগ, বন্দরে বিলম্বজনিত মাশুল আরোপ না করা ও ক্লিংকার আমদানিতে শুল্ক টনপ্রতি ৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে ২০০ টাকায় নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে সিমেন্ট খাত।
ইউনিক সিমেন্টের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, গত জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত চার মাসের হিসাবে সিমেন্ট খাতে সাড়ে ৬ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যা বছর শেষেও অব্যাহত থাকবে।