নাগরিকদের অতিপ্রয়োজনীয় জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংক্রান্ত সেবা দিতে করোনার মধ্যেও জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের কার্যক্রম সচল রাখবে কমিশন।
করোনাকালে এই অনুবিভাগ থেকে পৌণে এক কোটি নাগরিককে সেবা দেয়া হয়েছে। অনলাইনের মাধ্যমে ৪৪ লাখ ৮১ হাজার ৩৬৯ জন নতুন ভোটারকে জাতীয় পরিচয়পত্র সরবরাহ করেছে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে ভোটারা নিজেরাই অনলাইনে ইসির সার্ভার থেকে পরিচয়পত্রটি ডাউনলোড করে নিয়েছেন। এছাড়া ২৭ লাখ নাগরিককে বিভিন্ন ধরনের সেবা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে হারানো কার্ড উত্তোলন সংক্রান্ত সেবা নিয়েছেন ১৫ লাখ ৫৫ হাজার ১৬২ জন নাগরিক।
আর পরিচয়পত্র সংশোধনের সেবা নিয়েছেন ৪ লাখ ৮১ হাজার ৩৭০ জন। এছাড়া নতুন ভোটার হওয়ার আবেদন নেয়া হয়েছে ৫ লাখ ৪৩ হাজার ৪৫ জনের। ইসির এনআইডি শাখার কমিউনিকেশন্স কনসাল্টেন্ট মো. শফিক জানান, করোনার প্রকোপের মধ্যে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বন্ধ থাকলেও অনলাইনে নতুন ভোটার নিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর সংগ্রহ, সংশোধনসহ জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত বেশকিছু সেবা চালু রাখে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ।
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশ্লিষ্ট ওয়েব সাইট services.nidw.gov.bd-তে প্রবেশ করে নাগরিকরা এ সেবা গ্রহণ করতে পারছেন। এছাড়াও ওয়েব সাইটে গিয়ে পুরাতন ভোটাররা তথ্য হালনাগাদ এবং হালনাগাদে যে ধরনের প্রয়োজনীয় দালিলিক প্রমাণাদি লাগবে তার তথ্য জানতে পারছেন। তিনি বলেন, এনআইডি সংশোধন, ঠিকানা স্থানান্তর সংক্রান্ত সেবাগুলোও অনলাইনে দেয়া হবে। তবে এনআইডি এখন কেউ পাবেন না। অফিস খুললে পাবেন।
গত বছরের ২৬ এপ্রিল অনলাইনে এনআইডি সেবার উদ্বোধন করা হয়। এরআগে করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯ এর প্রকোপের কারণে প্রথম দফায় গত ১৯ মার্চ থেকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইস্টিটিউটে জাতীয় পরিচয় সেবা বন্ধ করে নির্বাচন কমিশন। পরে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি সাধারণ ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে এ সেবা বন্ধ রাখা হয়। তবে সরকার কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ব বাড়াতে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি বাড়ালেও ছুটির মধ্যেই আনলাইনের মাধ্যমে সংশোধন ও তথ্য হালনাগাদের আবেদনের সেবা চালু করে নির্বাচন কমিশন।