ভোক্তাকণ্ঠ প্রতিবেদন: করোনাভাইরাসের কারণে ঢাকার বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বিক্রি কয়েক গুণ বেড়ে গেছে, অনেকেই প্রয়োজনের অতিরিক্ত পণ্য কিনে নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
জনগণকে স্বাভাবিক কেনাকাটার পরিবর্তে বাজারে গিয়ে অতিরিক্ত কেনাকাটা না করার অনুরোধ করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। আবার খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশে চাল ও গমের মজুদ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি রয়েছে। এই অবস্থার সুযোগ নিয়ে কেউ দাম বাড়াতে চাইলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আর বাণিজ্যমন্ত্রী আরো বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার আমদানি ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বেশি। তাই আমদানি করা পণ্যের সংকট হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর সচিবালয়ে দ্রব্যমূল্য ও সরবরাহ পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, খুচরা বাজারে ইতিমধ্যে বিক্রিতে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। গতকালই আমরা এ খবর পেয়েছি। একশ্রেণির মানুষ আছে, তারা বাজারে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। আমাদের সমস্যা হওয়ার কথা না। তাই কেউ যেন স্বাভাবিক কেনাকাটার চেয়ে অতিরিক্ত কেনাকাটা না করে।’
“চাল ও গম নিয়ে ভোক্তারা যেন আতঙ্কিত না হয়। কোনো ব্যবসায়ী বা মিলার যদি এটাকে পুঁজি হিসেবে ব্যবহার করে বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে তবে সরকার ও খাদ্য মন্ত্রণালয় কোনো ক্রমেই চুপচাপ বসে থাকবে না।” বলেও জানান তিনি।
আজ বুধবার ধানমন্ডির শুক্রাবাদ বাজারের মুদি দোকানগুলিতে ভোক্তাদের ভীড় দেখা যায়। মুদি দোকানদার আশরাফ জানান, হঠাৎ করে চাল,ডাল আর তেল বেশি পরিমাণে বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রাবাদে আলিফ নামে এক ক্রেতা বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির বক্তব্য নিয়ে বলেন,‘বাজারে পণ্য সংকট, দামও বেশি রাখা হচ্ছে । মন্ত্রী সবসময় আশ্বাস দেন, এর আগে পেঁয়াজের সংকট মুহূর্তেও তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন কিন্ত দাম হাতের নাগালের বাইরেই ছিলো। গত রমজানেও দেখেছি একই অবস্থা।’
এদিকে খাদ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে সরকারি গুদামে ১৭ লাখ ৩৯ হাজার ৪৯৫ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ আছে। এর মধ্যে তিন লাখ ১৯ হাজার টন গম। এর বাইরে ‘পাইপলাইনে’ রয়েছে আরও দুই লাখ মেট্রিকটন গম। গতবার এই সময়ে ১৫ লাখ ৪৪ হাজার ৫২৩ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ ছিল।
অপরদিকে অতিরিক্ত পণ্য থেকে লোকজনকে বিরত রাখতে মাঠে নেমেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মীরা।