করোনার নতুন ধরণে ধুকছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। এমন পরিস্থিতিতেও চালু রয়েছে দেশটির সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি। ফলে করোনা সংক্রমণের চরম ঝুঁকিতে ভারত থেকে আসা শ্রমিকরা। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই ব্যবস্থা না নিলে বাংলাদেশের পরিস্থিতিও ভারতের মতো ভয়াবহ হতে পারে।
কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউয়ে রীতিমতো সুনামি বয়ে যাচ্ছে সারা ভারতের ওপর দিয়ে। প্রতিদিনই আক্রান্ত আর মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়ে যাচ্ছে আগের দিনগুলোর রেকর্ড। হাসপাতাল চিকিৎসা দিয়ে কূল-কিনারা পাচ্ছে না। অক্সিজেনের জন্য হাহাকার পড়ে গেছে।
এমন বাস্তবতায় যাত্রী পরিবহন বন্ধ থাকলেও ভারতের সঙ্গে চালু রয়েছে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। এক্ষেত্রে বন্দরগুলোতে মানা হচ্ছে না ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি।
ট্রাকচালক ও শ্রমিকরা বলছেন, বাংলাদেশে প্রবেশের সময় কোনও জীবাণুনাশক দেয়া হয়নি। স্প্রে কিংবা স্যানিটাইজারের ব্যবস্থাও নেই।
বন্দরে দু’দেশের শ্রমিকরা মিশছেন কোনও ধরণের স্বাস্থ্য-সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়াই। মাস্ক পরছেন না অনেকেই। এমন পরিস্থিতিতে করোনার ভারতীয় ভেরিয়েন্ট সংক্রমণ নিয়ে চরম আতঙ্কে আছেন বন্দর এলাকার বাসিন্দারা।
এলাকাবাসী বলছেন, চালক-হেলপারদের যদি নিরাপত্তার আওতায় না আনতে পারি তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। আবার কেউ বলছেন, হয় স্বাস্থ্যবিধি মানা হোক আর না হয় আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করা হোক।
আইইডিসিআর’র উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বলছেন, বাংলাদেশ সীমান্ত এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে যেন যথা সম্ভব কম মানুষের চলাচল হয়। একদম বন্ধ করা গেলে ভালো হয়। আমরা শুধু আন্তর্জাতিক যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ করে দিলাম কিন্তু দেশের ভেতরে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কোনও উদ্যোগই নিলাম না তাহলে কোনও ফল আসবে না।
পাশাপাশি কোনও ভারতীয় শ্রমিক যেন এদেশের অভ্যন্তরে ঢুকতে না পারে সেদিকেও প্রশাসনকে নজরদারি করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।