বিশ্বব্যাংক ২৫ কোটি ডলার ঋণ দেয়ার মূলে রেখেছেন আমাদের দেশের বর্তমান অন্যতম সমস্যা কর্মসংস্থানের অভাব কে।
কোভিড পরিস্থিতি থেকে দ্রুত উত্তরণ নিশ্চিত করতে অন্তর্ভূক্তিমূলক ও উন্নততর কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির লক্ষ্যে ২৫ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে পরিশোধযোগ্য এ ঋণের সুদের হার হচ্ছে ১ দশমিক ২৫ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে এ-সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ‘অর্থনৈতিক সম্পক বিভাগ’ (ইআরডি)। চুক্তিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ইআরডি সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং বিশ্বব্যাংক-এর পক্ষে বাংলাদেশ ও ভূটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন সই করেন।
চুক্তির বিষয়ে ইআরডি জানায়, দেশের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর জন্য পর্যাপ্ত এবং মানসম্পন্ন কর্মসংস্থানের সুযোগ ও পরিবেশ তৈরিসহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/সংস্থার সংশ্লিষ্টতায় সহায়ক কিছু নীতি-কৌশল/বিধি-বিধান সংস্কার ও আধুনিকায়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকারকে তিন বছর মেয়াদে (২০১৮-১৯, ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১) ‘ভেভেলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিট’ (ডিপিসি) হিসেবে মোট ৭৫ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দিতে সম্মত হয় বিশ্বব্যাংক। এ ধারাবাহিকতায় ‘থার্ড প্রোগ্রামেটিক জবস ভেভেলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিট’ (ডিপিসি-৩)-এর আওতায় তিন বছর মেয়াদী সহায়তার শেষ কিস্তির অর্থ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক।
ইআরডি জানায়, সরকারের এ কর্মসূচীর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বিনিয়োগ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ আধুনিকায়ন; শ্রমিকদেও সুরক্ষা ও সব ধরনের অভিঘাত মোকাবেলার সক্ষমতা জোরদারকরণ এবং পিছিয়ে পড়া/দুঃস্থ জনগোষ্ঠীর অধিক হারে কর্মে প্রবেশ নিশ্চিতকরণে নীতি ও কর্মসূচী উন্নয়ন।
চুক্তি সই কালে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, কোভিড মহামারী দরিদ্র ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর ওপর আঘাত হেনেছে। কোভিড পরিস্থিতিতে অধিক ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীকে সহায়তা প্রদান এবং অধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এ আর্থিক সহায়তা বাংলাদেশ সরকারকে নীতিগত সহায়তা দেবে।