গাছে গাছে ঝুলছে পাকা টমেটো। সবজির ভারে নুয়ে পড়েছে গাছ। কিন্তু ফসল তুলছেন না কৃষক। ক্ষেতে নষ্ট হচ্ছে বিপুল পরিমাণ ফসল।
এই চিত্র গোপালগঞ্জ সদরের রঘুনাথপুর এলাকার। স্থানীয় চাষিরা বলছেন, দরপতনের কারণে তারা টমেটো তুলতে আগ্রহ হারিয়েছেন। এক মণ টমেটো বিক্রি করে যে টাকা পাওয়া যাচ্ছে, তার চেয়ে বেশি খরচ হচ্ছে বাজারজাতকরণে। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের।
যারা আগাম আবাদ করেছেন তারা প্রতি মণ টমেটো বিক্রি করেছেন ২ হাজার টাকার ওপরে। কিন্তু চাষিদের অনেকেই পরে টমেটো লাগিয়েছেন। তারা এখন ফসলের দাম পাচ্ছেন না। প্রতি মণ টমেটোর দাম হাঁকা হচ্ছে মাত্র ১০০ টাকা।
টমেটো প্রক্রিয়াকরণের ব্যবস্থা বা সংরক্ষণাগার থাকলে এই ক্ষতি এড়ানো যেত বলে মনে করেন কৃষি খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
প্রতি বছর গোপালগঞ্জ সদরের রঘুনাথপুর, সিলনা, টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ডুমুরিয়া, পাথরঘাটা ও কোটালীপাড়া উপজেলার কালীগঞ্জে প্রচুর পরিমাণ টমেটো আবাদ হয়। রোগবালাইয়ের আক্রমণ কম এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবারও হয়েছে বাম্পার ফলন।
রঘুনাথপুরের কৃষক বিমল বিশ্বাস, সবিতা রানী ও সিলনা গ্রামের নিরঞ্জন বিশ্বাস বলেন, ‘প্রথম দিকে কিছুটা দাম পেলেও মাঝখানে এসে টমেটোর দাম পড়ে গেছে। কৃষকরা এখন আর ক্ষেত থেকে টমেটো তুলছেন না। ক্ষেত থেকে টমেটো তুলতে যে টাকা খরচ হয়, টমেটো বিক্রি করতে হচ্ছে তার অর্ধেক দামে। ফলে ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে টমেটো।’
গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষিবিদ আব্দুল কাদের সরদার বলেন, এ অঞ্চলে যদি টমেটো প্রক্রিয়াকরণের কোনো ব্যবস্থা থাকত বা সংরক্ষণের জন্য হিমাগার থাকত, তাহলে এসব টমেটো নষ্ট হতো না। ভবিষ্যতে এ ধরনের ফসল চাষে আরও আগ্রহী হতেন চাষিরা।