কার্বন নিউট্রাল দেশ রূপান্তরকরণে নেতৃত্ব দিবে বাংলাদেশ

সি.ভি.এফ.’এর সদস্য দেশগুলোকে ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিউট্রাল দেশে রূপান্তরে নেতৃত্ব দিতে হবে বাংলাদেশকে, অভিমত বিশেষজ্ঞদের।


বৃহস্পতিবার সকালে ‘সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’ (সি.পি.আর.ডি) এবং ক্লাইমেট অ্যাকশন নেটওয়ার্ক সাউথ এশিয়া-বাংলাদেশ-এর যৌথ উদ্যোগে ‘এনহ্যান্সড এনডিসি’কে প্যারিস এগ্রিমেন্ট অনুযায়ী তৈরীকরণ এবং সভাপ্রধান রাষ্ট্র হিসেবে ‘ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামে বাংলাদেশের ভূমিকা’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিশেজ্ঞরা এসব কথা বলেন। এ সময় এনহ্যান্সড এনডিসি প্রণয়ন চূড়ান্তকরণের জন্য সুপারিশ করেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সি.পি.আর.ডি.’র নির্বাহী প্রধান সামছুদ্দোহা অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র সাংবাদিক এবং ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিষ্ট ফোরামের সভাপতি কাউসার রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক এবং সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল ভদ্র এবং সি.ডি.পি.’র নির্বাহী প্রধান সৈয়দ জাহাঙ্গীর হাসান মাসুম।

সামছুদ্দোহা বলেন, বাংলাদেশ এরই মধ্যে ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামে (সি.ভি.এফ.)-এর চেয়ার করছে। ফলে বাংলাদেশের সুযোগ রয়েছে সি.ভি.এফ. ভুক্ত দেশগুলোকে ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিউট্রাল অর্থনীতির রাষ্ট্র হওয়ার পথে নেতৃত্ব দিতে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এরই মধ্যে ‘মুজিব ক্লাইমেট পারসপেক্টিভ প্ল্যান-২০৩০’ ঘোষণা করেছে যেটি অবশ্যই প্রশংসনীয়, এটিকে অবশ্যই প্যারিস ক্লাইমেট গোলের সাথে সংযুক্ত করা উচিত। প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ভার্চুয়াল জলবায়ু সম্মেলন বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এবং সিভিএফ রাষ্ট্রসমূহকে এই সম্মেলনে উন্নত রাষ্ট্রসমূহের অর্থনৈতিক সক্ষমতার আনুপাতিক হারে তাদের এনহ্যান্সড এনডিসিতে কার্বন নির্গমণ হ্রাস এবং বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ক্লাইমেট ফান্ড গঠনে চাপ প্রয়োগ করতে পারে।