ভোক্তাকন্ঠ প্রতিবেদক: দেশের করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ থাকা রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানার কাল থেকে ধাপে ধাপে চালু হবে। তবে চলতি সপ্তাহে একেবারেই সীমিত পরিসরেই উৎপাদন চলবে এবং পরবর্তীতে উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে কারখানাগুলো।
তবে শুরুতে দূর-দূরান্ত থেকে শ্রমিক না আনতে সদস্য কারখানাকে পরামর্শ দিয়েছে পোশাকশিল্প মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ। বিকল্প হিসেবে আশপাশে বসবাসরত শ্রমিকদের দিয়ে সীমিতভাবে উৎপাদনকাজ চালাতে নির্দেশনা দিয়েছে তারা।
গত ৬ এপ্রিল সরকারের নির্দেশনা মেনে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। পরে সরকারের ঘোষিত ছুটি বাড়লে তার সঙ্গে সমন্বয় করে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত কারখানা বন্ধের ঘোষণা দেয় উভয়সংগঠন।
বেধে দেওয়া সময় অনুযায়ী সরকারের অনুমতি পাওয়ার পর কারখানা চালু করতে কাজ শুরু করে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ। আজ শনিবার বিকেএমইএ তাদের সব সদস্য কারখানাকে স্যাম্পল, নিটিং ও ডাইয়িং সেকশন আজ রোববার থেকে চালু করার নির্দেশনা দেয়। তবে এখন দূরের জেলাগুলো থেকে শ্রমিকদের শিল্পাঞ্চলে ফিরতে নিষেধ করেছে সংগঠনটি।
অন্যদিকে এলাকাভেদে সীমিত পরিসরে ধাপে ধাপে কারখানা চালু করতে উদ্যোগ নিয়েছে বিজিএমইএ। প্রথমধাপে কাল রোববার ও পরশু দুই দিনে ঢাকার ১৯৮টি কারখানা খোলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত শুধুই নিটিং, ডাইয়িং ও স্যাম্পল সেকশন, ২ মে কাটিং এবং ৩ মে থেকে সুইং (সেলাই) সেকশন চালুর পরামর্শ দিচ্ছে সংগঠনটি।
এদিকে বিজিএমইএ গতকাল শুক্রবার সদস্য প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি সাধারণ নির্দেশনা দিয়েছিল। তাতে বলা হয়, প্রথম ধাপে কেবলমাত্র কারখানার আশপাশে বসবাসরত শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে পারবে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত শ্রমিকদের গ্রাম থেকে ঢাকায় আনা যাবে না। এ ছাড়া মানবিক কারণে শ্রমিক ছাঁটাই না করতে কারখানা মালিকদের অনুরোধ করে সংগঠনটি।
এ বিষয়ে বিজিএমইএর সহসভাপতি আরশাদ জামাল বলেন, ঢাকার কারখানাগুলো কাল থেকে খুলবে। অন্যান্য এলাকার কারখানা ২৮ এপ্রিল থেকে ৩ মে পর্যন্ত ধাপে ধাপে চালু হবে। তিনি আরও বলেন, লকডাউন থাকা অবস্থায় ঢাকার বাহির থেকে শ্রমিক না আনতে আমরা কারখানাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছি। আর কারখানা খোলার আগে সদস্যদের অবশ্যই বিজিএমইএ ও স্থানীয় প্রশাসনের অনুমোদন নিতে হবে। কারখানা চালু করার বিষয়ে একটি গাইডলাইন সব সদস্য কারখানাকে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে বিকেএমইএর সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, স্যাম্পল, নিটিং ও ডাইয়িং সেকশন কাল থেকে চালু করতে আমরা সব সদস্য কারখানাকে নির্দেশনা দিয়েছি। এসব সেকশনে খুবই কম সংখ্যক শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। ফলে খুব সহজেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যাবে। অন্যদিকে সুইংসহ অন্যান্য সেকশন পহেলা মে’র পর পরিস্থিতি অনুযায়ী চালু করতে পারবে কারখানাগুলো। তবে জরুরি রপ্তানি ক্রয়াদেশের বিষয় থাকলে সংশ্লিষ্ট কারখানা তাদের প্রয়োজনীয় সেকশনগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালাতে পারবে।