ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: শুরু হলো কুমিল্লা জেলার শ্রীকাইলে অনুসন্ধান কূপের খনন কাজ। খনন কাজ শেষ হলে ১০ থেকে ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন হতে পারে বলে আশা করছে পেট্রোবাংলা।
শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লা জেলার শ্রীকাইল নর্থ-১ এ অনুসন্ধান কূপের খননের কাজ শুরু হয়।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেন এই কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এ সময় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) হেলাল উদ্দিন, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান, বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহম্মদ আলী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান বলেন, দেশীয় গ্যাসের উৎস অনুসন্ধানে কাজ করছে সরকার। এ লক্ষ্যে ২০২২-২০২৫ সালের মধ্যে পেট্রোবাংলা মোট ৪৬টি অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও ওয়ার্কওভার কূপ খননের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এরই অংশ হিসেবে বাপেক্স এ বছরের জুন মাসের শেষ সপ্তাহে শ্রীকাইল নর্থ-১ এ অনুসন্ধান কূপ খননের কার্যক্রম শুরু করে। ইতোমধ্যে কূপটির ১৮২ মিটার খনন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তিনি জানান, খনন সংশ্লিষ্ট মালামাল ও তৃতীয় পক্ষীয় সেবা সংগ্রহের পর আজ থেকে কূপ খননের ২য় পর্যায়ের কার্যক্রম শুরু করা হলো।
পেট্রোবাংলা জানায়, কূপের গভীরতা হবে ৩৫০০ মিটার। খনন কাজে বাপেক্সের নিজস্ব রিগ বিজয়-১২ ব্যবহার করা হচ্ছে। চলতি বছরের মধ্যে (২০২২) কূপটির খনন কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কূপ খনন শেষে বাণিজ্যিকভাবে গ্যাস আবিষ্কৃত হলে দৈনিক ১০-১৫ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উৎপাদন হতে পারে বলে আশা করা যায়। এ কূপ থেকে গ্যাস পাওয়া গেলে প্রসেস প্লান্ট স্থাপনের প্রয়োজন হবে না, গ্যাস গ্যাদারিং পাইপ লাইন নির্মাণ করে তা নিকটবর্তী প্রসেস প্লান্টের (৫/৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত প্রসেস প্লান্ট, যেখানে আরও ২০ মিলিয়ন গ্যাস প্রসেসের সক্ষমতা রয়েছে) মাধ্যমে প্রসেস করে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব হবে।