ঢাকা, ৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবারঃ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক হিসেবে প্রতিষ্ঠান গঠন করা এবং আইন বাস্তবায়নে মানুষ আমাকে কম বেশি মনে রাখতে পারে। তবে এ কাজে আমি সরকার তথা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাইরে যাদের মনে রাখবো এরং যাদের কাছে ঋণী তাঁরা হলেন বাংলাদেশ সরকারী কর্মকমিশনের তৎকালীন বিজ্ঞ সদস্য জনাব এহেতেশাম শামীম,এপি বিএন এর এসপি জনাব আবদুল সালাম এবং ক্যাব এর সভাপতি মরহুম কাজী ফারুক।
শামীম স্যার আমাকে জানান যে আবুল হোসেন পিএসসি নন – ক্যাডার পদে সহকারী পরিচালক পদে লোক দেয়া যাচ্ছে না। স্যার আমাকে কারণ জানালেন।তা ছাড়া আর ও জানালেন যে আজই বর্তমান ব্যাচ থেকে লোক নিয়োগের শেষ দিন।আমার মাথায় বাজ পড়ার মত অবস্হা। কিংকর্তব্যবিমূঢ অবস্হায় আমার মাথায় আল্লাহর রহমতে একটি প্রস্তাব সৃষ্টি হলো।স্যার রাজি হলেন এবং আমাকে বললেন আজই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় হতে আমার প্রস্তাবের পক্ষে চিঠি নিয়ে আসতে হবে। তখন বিকেল ২টা। আল্লাহ সহায়ক মন্ত্রণালয়ে এসে সব কিছু হাতে হাতে করে চিঠি নিয়ে কর্মকমিশনে পৌঁছাই। পেয়ে যাই নির্ধারিত সংখ্যক সহকারি পরিচালক পদায়নের সুপারিশ। এখন এই একই শর্তে পিএসসি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে নন- ক্যাডার পদে অফিসার দিয়ে আসছে। আমার এ প্রস্তাব/ সিদ্ধান্তটি পিএসসি কর্তৃক গ্রহণ ছিল জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রাণ শক্তি তথা ৫0% ভাগ হিসেবে ৫১ জন নিজস্ব কর্মকর্তা নিয়োগের রক্ষা কবচ।বিশাল টার্নিং পয়েন্ট।
বাজার মনিটরিং এ আইন শৃঙখলা বাহিনীর সহয়তা সংগত কারণে ঢাকায় অনেক অনেক দিন পাওয়া যায়নি। তা ছাড়া অপ্রতুল সদস্যদেরকে নিয়ে বাজারে যেতে হতো।একদিন এপিবিএন এর এসপি(? ) জনাব আবদুস সালাম আমার সাথে টেলিফোন করে দেখা করেন এবং বাজার মনিটরিং এ সহায়তার প্রস্তাব করলে আমি ধন্যবাদ জানাই। সে হতে এপিবিএন অধিক সংখ্যক এমন কি মহিলা সদস্য দিয়ে বাজার অভিযানে সহয়াতা দিয়ে আসছেন। আজকের এ অবস্হায় আসতে এপিবিএন এর ভূমিকা অনস্বীকার্য।আর মরহুম কাজী ফারুক সভাপতি ক্যাব ছিলেন আমার কনজুমার্স কমরেড। ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষায় আমার সহযোদ্ধা।
আমার দীর্ঘ প্রায় সাত বছরের নিরলস ও অকাতর শ্রমে গড়া প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম এখন দৃশ্যমান।জন আকাঙ্খা পূরণে কাজ করে যাচ্ছে। আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি তৎকালীন মাননীয় তিনজন মন্ত্রী যথাক্রমে জনাব মোহাম্মদ ফারুক খান, জনাব জিএম কাদের এবং জনাব তোফায়েল আহমেদের প্রতি। মাননীয় বাণিজ্য মন্ত্রীগণ পর্যায়ক্রমে আইটি বাস্তবায়নে দিক নির্দেশনা প্রদান সংক্রান্ত সংগঠন ” জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ” এর চেয়ারম্যন ছিলেন।
ভোক্তাদের জয় হোক।
(লেখকঃ মোঃ আবুল হোসেন মিঞা, প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর )