কৃষি বিপণন অধিদফতরের সহায়তায় মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদীসহ কয়েকটি জেলা থেকে আসা কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য কৃষকের বাজারে বিক্রি করেন। এ জন্য তাদের দিতে হয় না কোনো দোকানভাড়া কিংবা পরিবহন খরচ। বাজারটি জাতীয় সংসদ ভবনের উল্টো দিকে থাকা সেচভবন প্রাঙ্গণে শুক্র ও শনিবার সপ্তাহে দুইদিন বসে।
দাম অন্য বাজারের মতোই তবে যেহেতু কৃষকরা সরাসরি বাজারে সবজি আনছেন, তাই এগুলো বিষমুক্ত ও নিরাপদ। পটল, লাউ, বেগুন, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, মরিচ, পেঁপে, বেগুনসহ নানান জাতের শাকসবজি বিক্রি করছেন কৃষকরা, জানানা ক্রেতারা।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা বলেন, ছয় মাস ধরে এখানে বাজার করি। এখানে ভ্যারাইটি মেলে। এক জায়গায় বিভিন্ন জেলার শাকসবজি মিলছে।
দাম ধানমন্ডি এলাকার বাজারের তুলনায় অলমোস্ট একই। কিন্তু এই বাজার একটু খোলামেলা। এখান থেকে এই মহামারি পরিস্থিতিতেকেনাকাটা একটু নিরাপদ জানান আর এক ক্রেতা।
কৃষক সিরাজ খান দীর্ঘদিন ধরেই বাজারে তার খেতের ফসল বিক্রি করছেন। ডাটা ২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪৫ টাকা, করলা ৫৫ টাকা, ধুন্দল ৪৫, লাউ ৫০ টাকা ও কলা ৪০ টাকায় বিক্রি করছেন। তিনি বলেন, ‘আমার ফসলে কোনো রাসায়নিক নেই। জৈবসার ব্যবহার করি।’ আগের দিন খেত থেকে ফসল উঠাই। শুক্রবার আইনা বিক্রি করি। এখানে দোকানভাড়া লাগে না। সরকার আমাদের সুযোগ দিয়েছে নিরাপদ সবজি উৎপাদন করার জন্য।’
শাকসবজি-ফল ছাড়াও বাজারে পাওয়া যায় ঘরে বানানো হরেক রকমের আচার, মাশরুম ও মধু। মৎস্য অধিদফতরের ভ্রাম্যমাণ মাছের দোকান ও মিল্কভিটার ভ্রাম্যমাণ দুধের গাড়ি এ বাজারে নতুন সংযোজন।