১৫ দিনে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা। আমদানি না হলে ৭ দিনের মধ্যে পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকা হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
পেঁয়াজের দাম বাড়ার মূল কারণ আমদানি না হওয়া। আমদানি বন্ধ থাকায় বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হয় পাবনা জেলার সদর, সুজানগর, বেড়া, কাশিনাথপুর উপজেলায়।
দেশের পেঁয়াজের চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। এ ছাড়া মায়ানমার, চীনসহ বেশ কয়েকটি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। তবে দেশে আমদানি হওয়া পেঁয়াজের প্রায় ৯৫ শতাংশ ভারত থেকে আনা হয়। গত ৩০ এপ্রিলের পর দেশে আর পেঁয়াজ আমদানি করা সম্ভব হয়নি।
বগুড়ার রাজাবাজারের আড়তদার ও পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানান, ১৫ দিন আগেও পাইকারি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ছিল ২৩ থেকে ২৭ টাকা। যা ১৫ দিনের ব্যবধানে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা কেজি দরে। যা খুচরা বাজারে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে।
সাধারণ ক্রেতারা জানান, থেকে ১০ কেজি করে পেঁয়াজ কিনেছেন। এত পেঁয়াজ কেনার কারণ জানতে চাইলে তারা বলেন, গত সপ্তাহে পেঁয়াজ কিনেছি ৫০ টাকা কেজি করে। আজ পেঁয়াজ কিনতে হলো ৬৫ টাকা কেজি করে। দোকানদার বলছেন, আগামী সপ্তাহে ১০০ টাকা কেজি দাম হতে পারে। তাই এক মাসের জন্য বেশি করে পেঁয়াজ কিনেছি।
বগুড়া জেলা বাজার মনিটরিং কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম জানান, দেশে যে পেঁয়াজ উৎপাদন হয় তা দিয়ে দেশের মানুষের চাহিদা মেটানো সম্ভব হয় না। এ কারণে পেঁয়াজ আমদানিম করতেহয। আমদানি করা ১০০ শতাংশের প্রায় ৯৫ শতাংশ পেঁয়াজ ভারত থেকে করা হয়। ভারত থেকে সর্বশেষ দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে ৩০ এপ্রিল পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে পরবর্তীতে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। আর এই কারণে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আমদানি পুনরায় শুরু হলে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে বলেও মনে করেন তিনি।