বর্তমান করোনা মহামারিতে দেশে সর্বমোট শ্রমশক্তির তিন ৩% বেশি লোক কাজ হারিয়েছেন এবং প্রায় দেড় কোটি লোক মহামারির প্রভাবে নতুন করে দরিদ্র হয়েছেন বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে।কোভিডে দেশে ১ কোটি ৬৮ লাখ মানুষ গরীব হয়ে পড়েছে। ২০১৭ সালে মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ দরিদ্র ছিল, বর্তমানে তা বেড়ে ৩৩ শতাংশ হয়েছে। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণায় এ তথ্য দেয়া হয়েছে।সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
করোনায় শ্রমবাজার পুনরুদ্ধারে ট্রেড ইউনিয়নের ভূমিকা বিষয়ক আলোচনায় দেশের দারিদ্র্য, শ্রমবাজার ও সামাজিক বিষয়ের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। তিনি দেখান, সারাদেশে শ্রমজীবী মানুষের বেতন কমেছে ৩৭ শতাংশ। ঢাকায় বেতন হ্রাস পেয়েছে ৪২ ও চট্টগ্রামে ৩৩ শতাংশ। করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ক্সুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ৬৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠান। দেশের ২০ শতাংশ পরিবারের আয় কমে গছে।
সিপিডির তথ্যে বলা হয়, ৬৯ শতাংশ চাকরিজীবী চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে। যারা দেশের অর্থনীতিতে ৪৯ ভাগ অবদান রাখে। তবে কিছু ব্যবসা ভাল করছে বলেও তথ্যে বলা হয়, এ ব্যবসাগুলো হলো, ই-কমার্স সেক্টর, স্বাস্থ্যখাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ফার্মাসিউটিক্যালস।
করোনায় সবচেয়ে সমস্যায় পড়েছে দিন মজুর, পরিবহন কর্মচারি, রাস্তার দোকানদার, হকার, চা বিক্রেতা ও ইনফরমাল সেক্টরে কর্মরতরা। তাদের ৬৩ শতাংশ ঘর ভাড়া দিতে পারেনি, ৩৯ শতাংশ, ইউটিলিটি বিল, ৩৬ শতাংশ স্কুল ফি দিতে পারেনি। ৫৭ শতাংশ গরীব মানুষ গ্রামে টাকা পাঠাতে পারেনি। করোনায়, ৪৭ শতাংশ শহুরে মানুষ তাদের খাবার গ্রহণ কমিয়েছে দেশের ৩২ শতাংশ মানুষ সার্বিকভাবে তাদের খাবার গ্রহণ কমিয়েছে।
৬৭ শতাংশ শহুরে মানুষ তাদের সঞ্চয় ভেংগে খাচ্ছে। গ্রামের ৩২ শতাংশ মানুষ তাদের সঞ্চয় ভেংগে খাচ্ছে। সরকারি ১ লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকার স্টিমুলাজ প্যাকেজের মধ্যে ৪৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র, মাঝারি, কৃষক ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠিার জন্য। এরমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে ২৬ হাজার কোটি টাকা।