ঢাকা, ১৮ মে শনিবারঃ কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেছেন, নিম্নমানের পণ্য বিক্রি করে এতোদিন ভোক্তাদের ঠকিয়েছে যে কোম্পানিগুলো তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার রয়েছে ভোক্তা অধিদপ্তরের। ক্ষতির শিকার ভোক্তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে কোম্পানিগুলোকে বাধ্য করতে হবে। কোম্পানিগুলোকে জরিমানা করে যে অর্থ ভোক্তা অধিদপ্তর পাচ্ছে তা থেকে একটা অংশ ভোক্তারা পান।
তিনি আরও বলেন, আমরা ভোক্তাদের নিয়ে কাজ করি। ক্ষতিগ্রস্ত ভোক্তারা যদি কাগজপত্রসহ আমাদের কাছে দেন তাহলে কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করতে পারি যে, ভোক্তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক। আমরা সে চিন্তাও করছি। কোর্টের অর্ডার আমাদের কাছে এসে গেছে। নথিপত্র দেখে, এর বাইরে আরও কোনো আলামত যদি পাওয়া যায় সব নিয়ে ভোক্তাদের ঠকানোর জন্য আগামী সপ্তাহেই কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নেওয়ার জন্য কোর্টে যাবো।
দেশের ব্যবসায়ীদের প্রভাব অনেক দূর পর্যন্ত। প্রশাসনিক ক্ষমতা ব্যবসায়ীদের হাতে। তাদের বিরুদ্ধে কী সিদ্ধান্ত নিতে হবে তা নিজেরাই তা নেন! এটাই তো এদেশের কালচার হয়ে গেছে। রাজনীতিবিদরা ব্যবসায়ী হয়ে যাওয়ার পরে তা উল্টে গেছে। এর মধ্যে এখন যে পদক্ষেপগুলো আসছে, ভোক্তারা আরও সোচ্চার-সচেতন হলে হয়তো তার সুফল কিছুটা হলেও মিলতে পারে।
ব্যবসায়ীরা এখন এমন ক্ষমতার অধিকারী হয়ে গেছেন যে তারা রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন এবং শাসন বিভাগীয় সিদ্ধান্ত কোনো না কোনোভাবে, আলটিমেটলি তাদের অনুকূলে নিয়ে যাচ্ছেন। লাইসেন্স বাতিল, স্থগিত কিংবা জরিমানা করে ভোক্তা স্বার্থ নিশ্চিত হবে বলে মনে করি না আমি। রাজনীতিবিদদের নিঃস্বার্থভাবে দেশ ও মানুষের স্বার্থে রাজনীতি করতে হবে। ব্যবসায়ীদের ব্যবসা করতে হবে। তাহলেই নিম্নমানের পণ্য তৈরি করে যারা ভোক্তাদের ঠকান তারা অনুশাসনের মধ্যে আসবেন। দেশের আইন-কানুনও তখন কার্যকর হবে।
(প্রতিবেদকঃ আশিক রহমান, সংবাদ উৎসঃ দৈনিক আমাদের সময়)