প্রায় ১৫ মাস ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজস্ব একটি ‘পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা’ তৈরি করে তা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানান বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন-ইউজিসি।
আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের টিকাদান শুরু করা হবে বলেও সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে একটি সাধারণ নীতিমালা পাঠাবে ইউজিসি। নিজেদের সক্ষমতা ও বাস্তবতা বুঝে সে অনুযায়ী একটি ‘পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা’ তৈরি করে তা বাস্তবায়ন করবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।
মহামারী পরিস্থিতি ‘খুব বেশি প্রতিকূল না হলে’ আগামী ১৩ জুন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার পরই বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পরিকল্পনা রয়েছে।শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ টিকা দেওয়ার পর আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়া হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সরাসরি উপস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম আগের মতো চালু হবে।
মতবিনিময় সভায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একাডেমিক কাউন্সিলের পরামর্শে পরীক্ষা নেওয়া এবং মূল্যায়নের বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানানো হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি’র সচিব ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম, অধ্যাপক মো. সাজ্জাদ হোসেন, অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর, অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ, অধ্যাপক মো. আবু তাহের, সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি ও মহাসচিব, কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সভাপতি এবং আরও অনেকেই যুক্ত ছিলেন।