আমাদের দেশে খাদ্যপণ্যে ভেজাল রোধে তিনটি আইন থাকলেও এগুলোর উপযুক্ত প্রয়োগ হয় না। রমজান মাসে খাদ্য ব্যাপকভাবে ভেজাল মেশানো হয়। ভেজাল মেশানোর ফলে করোনার সংক্রমণ রোধে বাঁধা পড়বে বলে মনে করেন অনেকে।
১৪ এপ্রিল বুধবার সকালে অনলাইন প্লাটফর্ম জুমে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন আলোচকেরা। করোনা মহামারিকালে ইফতারিসহ সব খাদ্যপণ্য ভেজালমুক্ত ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার দাবিতে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) ও বারসিক এ আলোচনার আয়োজন করে।
পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান সভাপতির বক্তব্যে বলেন, শুরু হয়েছে রমজান মাস। এ উপলক্ষে প্রতিবছর রাজধানীসহ সারা দেশে প্রচুর ইফতার-জাতীয় খাবার বিক্রি হয়। মুনাফাখোর ব্যবসায়ীরা এ সুযোগে অতিরিক্ত লাভের আশায় ইফতারিতে ভেজাল মেশান। তিনি বলেন, ‘খাদ্যে ভেজাল এমন একটি নীরব ঘাতক, যা ধীরে ধীরে সুস্থ মানুষকে সুস্থ ধারা থেকে ছিনিয়ে নিচ্ছে। আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছে।’
করোনার সময় ইফতারি তৈরি ও বিক্রিতে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মানার দাবি জানিয়ে আলোচকেরা বলেন, ইফতারিসহ বিভিন্ন খাদ্যে হাইড্রোজ, রেড অক্সাইড, মনো সোডিয়াম গ্লুটামেট, ট্রান্সফ্যাট, ব্যবহৃত তেল, টেক্সটাইল কেমিক্যাল, বিপজ্জনক সুগন্ধি ও রাসায়নিক মেশানো হয়। এগুলো ব্যবহার করা যাবে না।
প্রথম আলোর সূত্র মতে, সভা থেকে ৯টি প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। এগুলোর অন্যতমগুলো হলো- খামার থেকে খাবার বণ্টন, সব পর্যায়ে খাদ্যকে নিরাপদ করা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইফতার সামগ্রী বিক্রির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, নিরাপদ খাদ্য আইন এবং ফরমালিন নিয়ন্ত্রণ আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা।
পবা সম্পাদক মেসবাহ সুমনের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন ৭১ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান খালেদ শওকত আলী, বারসিকের পরিচালক পাভেল পার্থ, এ বি এম তৌহিদুল আলম, ইন্টারফেইথ সেন্টারের সভাপতি মো. শহীদুল্লাহ প্রমুখ।