আগামী ১৬ মে থেকে কুষ্টিয়ার দর্শনা, দিনাজপুরের হিলি ও রাজশাহীর সোনামুখি দিয়ে লোকজন ভারত থেকে দেশে ফিরতে পারবেন কারণ বেনাপোল ছাড়াও আরও এই তিনটি স্থলবন্দর খুলে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে এক বৈঠকে এই উল্লেখিত সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়। উল্লেখ্য, ভারতে ক্রমেই ভয়াবহ আকার নিচ্ছে করোনা মহামারী। তাই সংক্রমণ রুখতে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে গত ২৬ এপ্রিল থেকে ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত দুই সপ্তাহ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় সীমান্ত বন্ধের মেয়াদ ২৩ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে সীমান্ত বন্ধ থাকলেও বেনাপোল, আখাউড়া ও বুড়িমারি স্থলবন্দর দিয়ে প্রবেশের সুবিধা ছিল। তবে ইদের তিন দিনের ছুটিতে ভারত থেকে নাগরিকদের না আসার আরজি জানানো হয়েছে।
এখনও পর্যন্ত বেনাপোল দিয়ে ৩ হাজার ৭৭ জন এবং আখাউড়া দিয়ে প্রায় দেড়শ বাংলাদেশি নগরিক দেশে ফিরেছেন। তবে বুড়িমারি দিয়ে খুব অল্প সংখ্যক বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। যদিও এ সময় পণ্যবাহী যানবাহন আসা-যাওয়া করেছে।বেনাপোল দিয়ে প্রচুর বাংলাদেশি ফিরে আসায় আশপাশের জেলাগুলিতে তাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই নতুন তিনটি বন্দর দিয়ে নাগরিকরা প্রবেশ করলে ওই জেলাগুলিতে তাঁদের কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করা সম্ভব। দেশে ভারতীয় ভেরিয়েন্ট যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।