স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন এবং পণ্যবাহী গাড়ি চালুর দাবিতে আগামী ২ মে সারাদেশে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।
এছাড়া এই দাবি আদায়ে ৪ মে সারাদেশে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।
আজ শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় ফেডারেশনটি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী বলেন, ‘করোনায় মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য সরকার লকডাউন ঘোষণা করেছে। আমরা লকডাউন বিরুদ্ধে না। তবে এ লকডাউনে কথা ছিলো মানুষের চলাচল, শ্রমঘন শিল্প, হাট-বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কোর্ট-কাচারি সব বন্ধ থাকার। সে অনুযায়ী, গণপরিবহন বন্ধ থাকলে আমাদের কোন আপত্তি ছিল না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সবকিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে লকডাউন শিথিল করায় গার্মেন্টস, শপিংমল, কাঁচা বাজার, অফিস আদালত চলছে।’
তিনি বলেন, গণপরিবহন খাতের ৫০ লাখ শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছে। পরিবার পরিজন নিয়ে তারা দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে। যার ফলশ্রুতি সড়ক পরিবহন শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে আসলে তার দায়দায়িত্ব বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন বহন করবে না।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গণপরিবহন বন্ধ থাকার কারণে বিকল্প যানবাহনে বাড়তি ভাড়া দিয়ে সাধারণ মানুষ অনিরাপদভাবে চলাচল করছে। এতে করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের প্রায় ৭৫ ভাগ যাত্রী ও ৬৫ ভাগ পণ্য সড়ক পথে পরিবহন হয়ে থাকে। কিন্তু এখন গণপরিবহন ছাড়া দেশের সব মার্কেট, গার্মেন্ট, কলকারখানা, অফিস-আদালত খোলা রয়েছে। ফলে পরিবহন সঙ্কটে মানুষ সিএনজি অটোরিকশা, মাইক্রোবাসে গাদাগাদি করে যাতায়াত করছেন। সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে মোট আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন ও পণ্য পরিবহণ চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের আর্থিক অনুদান ও খাদ্য সহায়তা প্রদান করতে হবে। সারাদেশে বাস ও ট্রাক টার্মিনালগুলোতে পরিবহন শ্রমিকদের জন্য ১০ টাকায় ওএমএস এর চাল বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে।’
এই সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ছাদিকুর রহমান হীরু। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- শ্রমিক নেতা শহিদুল্লাহ ছদু, মফিজুল হক, হুমায়ুন কবির প্রমুখ।