ঈদকে সামনে রেখে গণপরিবহন চালুর কথা সরকার ভাবছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এছাড়া আন্দোলন, বিক্ষোভে না গিয়ে পরিবহনমালিক–শ্রমিকদের ধৈর্য ধরারও আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। আজ সকালে তাঁর সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন সরকারের এই মন্ত্রী।
গণপরিবহন চালুর দাবিতে রোববার সারা দেশে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে তাঁরা গণপরিবহন চালানোর কথা বলছেন। একই কথা বলেছেন পরিবহনমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতিও। গতকাল সংগঠন দুটির দেওয়া ঘোষণার পরই গণপরিবহন চালুর বিষয়ে সরকারের ভাবনার কথা জানালেন ওবায়দুল কাদের।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ৫ এপ্রিল লকডাউন শুরুর পরপরই বন্ধ হয়েছিল গণপরিবহন। সেই লকডাউন কয়েক দফায় এক সপ্তাহ করে বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ বর্ধিত লকডাউন ৫ মে পর্যন্ত।
এদিকে ঈদ ও রমজানের কথা বিবেচনা করে এবং দোকানপাট ও শপিং মলে যাঁরা কাজ করেন, তাদের কথা চিন্তা করে সরকার ইতিমধ্যে লকডাউন শিথিল করেছে বলেও জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
আজ পয়লা মে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস বা মে দিবস। এ প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, শ্রমিকদের লড়াই, সংহতি, দৃঢ়তা ও রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বিজয় দিবসই মে দিবস।
ওবায়দুল কাদের জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে বাংলাদেশ ১৯৭২ সালের ২২ জুন আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে। একই দিনে বাংলাদেশ আইএলওর ২৯টি কনভেনশন অনুসমর্থন করে, যা ছিল একটি বিরল ঘটনা।
শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৭২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু সরকার প্রথম শ্রমনীতি ঘোষণা করে, যেখানে মালিক–শ্রমিক সম্পর্ক উন্নয়ন, শিল্পের শান্তি ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থ সুরক্ষা এবং কল্যাণের প্রতি জোর দেওয়া হয় বলে জানান মন্ত্রী।
আওয়ামী লীগ শিশুশ্রম নিষিদ্ধ ও শ্রম আইন বাস্তবায়ন থেকে শুরু করে পোশাকশ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি এবং কৃষিশ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ করার ব্যবস্থা করেছে বলেও দাবি করেন ওবায়দুল কাদের।
ঈদের আগে কলকারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অনুরোধ করেন মন্ত্রী।
সুত্র: প্রথম আলো/ এমএস ’