অনলাইন ডেস্ক: গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের তৈরি করোনাভাইরাস শনাক্তের কিট তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানায় “১১ এপ্রিলের মধ্যে প্রয়োজনীয় নমুনা কিট তৈরি করে সরকারের কাছে হস্তান্তর করা যাবে ”।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ বলেন, রক্তের নমুনা পাওয়ায় গণস্বাস্থ্য র্যাপিড ডট ব্লট কিট তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে। এই কিটের নমুনা সরকারের, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (উব্লিউএইচও) ও অন্য সংস্থাগুলোকে দেওয়া হবে, যাতে সবাই এটির কার্যকারিতা পরীক্ষা করতে পারে।
গত মার্চ মাসে কোভিড-১৯ রোগ পরীক্ষার জন্য সহজ ও স্বল্পমূল্যের পদ্ধতি উদ্ভাবন করার কথা জানায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।আর সরকার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে কিট তৈরির উপাদান আমদানির অনুমতি দেয় ১৯ মার্চ দুপুরে ।
এদিকে গত রোববার চীন থেকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষার জন্য কিট তৈরির উপাদান বা রি-এজেন্ট পৌঁছায়।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানায়, কিট তৈরির সব প্রস্তুতি আগে থেকে নেওয়া ছিল। কিট তৈরির উপাদানের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন তাঁরা।
বর্তমানে করোনাভাইরাস শনাক্তের যে পদ্ধতি ব্যবহৃত হয় সেটি হলো পিসিআর যা অনেক ব্যয়বহুল। এছাড়া পিসিআর পদ্ধতিতে পরিক্ষা করানোর জন্য নাক, মুখের লালা ব্যাবহার করা হয়। অন্যদিকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিটেমাত্র এক ফোঁটা রক্তের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হবে। তবে গণস্বাস্থ্যের কিটে পরীক্ষাটি আক্রান্ত হওয়ার তৃতীয় দিনে কার্যকর হবে।
জাফরুল্লাহ বলেন, গণস্বাস্থ্যের কিটের মাধ্যমে ৫ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে অত্যন্ত স্বল্পমূল্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা যাবে। খরচ পড়বে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা।