নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা:
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। কিন্তু সাগর উত্তাল থাকায় সমুদ্র বন্দরগুলোকে আগের মতোই ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একইভাবে নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
নিম্নচাপের প্রভাবে রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর বিভাগের অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস বলেন, ঝড়টি দুর্বল হলে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। কিন্তু সাগর উত্তাল থাকায় সংকেত আগেরটাই থাকছে। কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে। তাতে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে।
আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ আরও উত্তর দিকে অগ্রসর এবং দুর্বল হয়ে একই এলাকায় গভীর নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে। এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে বিকালে ছিল এক হাজার ৫ কিলোমিটার দূরে। এখন আরও এগিয়ে ৯৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে।
একইভাবে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ছিল ৯৬৫ কিলোমিটার দূরে, এখন ৯২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ছিল ৮৪০ কিলোমিটার দূরে, এখন ৭৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ছিল ৮৬৫ কিলোমিটার, এখন ৮১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিপশ্চিমে অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল রয়েছে।
গভীর নিম্নচাপটির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে এবং উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
ঝড় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হলেও সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে আগের মতোই ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করার জন্যও বলা হয়েছে।