গমের ফলন বাম্পার হবার আশা

জাতীয়: আমদানিতে কিছুটা ঘাটতি থাকায় এখনো দেশের বাজারগুলোতে গমের দাম বেশ চড়া। অন্যদিকে কৃষকের মাঠে এখন দোল খাচ্ছে আধা-পাকা ফসলটি। আর কিছুদিনের মধ্যে পেকে গেলেই মাড়াই করা হবে। তাই কৃষকরা এবার গম বিক্রি করে ভালো মুনাফার আশা করছেন।

গত বছরের থেকে এ বছর ফলন ভালো। এখন বাজারও বেশি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এ বছর গমে ভালো মুনাফা হবে।’ উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয়ে একই ধরনের তথ্য দিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. রিয়াজ উদ্দিন।

তিনি বলেন, ‘এ বছর পুরো জেলায় দুই হাজার ২২৫ হেক্টর জমিতে গমের আবাদ হয়েছে। যা গত বছর ছিল দুই হাজার ৮৫ হেক্টর। এ বছর কোনো প্রকৃতিক দুর্যোগ না থাকা এবং আবহাওয়া উপযোগী থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। প্রতি হেক্টরে এ বছর দুই টন গম বেশি হবে বলে আমরা আশা


যদিও দেশে গম চাষের পরিমাণ ক্রমশই কমছে। লাভ কম, শ্রমিক সঙ্কট, বৈরী আবহাওয়া, ব্লাস্ট আতঙ্ক ও ভালো মানের বীজের অভাবে গম চাষের ঝুঁকি নিতে চাইছেন না অনেক চাষি। গমের পরিবর্তে ভুট্টা চাষে মনোযোগী হয়েছেন অনেকে।

তবু এ বছর গমের আবাদ ভালো হওয়ায় গত কয়েক বছরের তুলনায় উৎপাদন বাড়বে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা। তারা জানান, চলতি মৌসুমে দেশে গমের উৎপাদন ১৪ লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে। উদ্ভাবিত নতুন জাতের বীজ ব্যবহার করে গমের উৎপাদন এ বছর বেড়েছে।

ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. এছরাইল হোসেন বলেন, ‘সারাদেশে এবার গমের ফলন ও উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় ৬০ টন প্রজনন বীজ দেয়া হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া, সার, কীটনাশক ও সেচ খরচ কম লাগায় উচ্চ ফলনশীল নতুন জাতের বীজে গম চাষে আগ্রহ বেড়েছে। সবকিছু মিলে এবার ফলন বাড়বে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শুধু এ বছর নয়, ক্রমান্বয়ে উৎপাদন বাড়িয়ে ২০২৫ সালের মধ্যে গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১৭ লাখ টনে পৌঁছাতে কাজ করা হচ্ছে।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানিয়েছে, এ বছর তিন লাখ ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে গমের আবাদ হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ছয় হাজার হেক্টর বেশি। গত মৌসুমে তিন লাখ ৩২ হাজার হেক্টর জমিতে গমের আবাদ হয়েছিল। দেশে গমের সর্বোচ্চ উৎপাদন হয় দিনাজপুর জেলায়। ওই জেলায়ও গত বছরের চেয়ে এ বছর গমের চাষ বেড়েছে। গত বছর দিনাজপুরে ছয় হাজার হেক্টর জমিতে কৃষকরা গম চাষ করেছেন। চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় ছয় হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছে।

সূত্র:জাগোনিউজ২৪.কম