একদল প্রভাবশীল ঝুট ব্যবসায়ী দিন দিন দখল করছে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের সরকারি সংরক্ষিত শালবন। উপজেলার ঝুটে লাগিয়ে দেয়া আগুনে সরকারি সংরক্ষিত বনের শাল গাছ পুড়ে ধ্বংস হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বনভূমি দখলে নিতে অভিনব কায়দায় সংরক্ষিত শাল বনে ঝুট ফেলে আগুন ধরিয়ে গাছ মেরে জমি দখলের মহোৎসবে মেতে উঠেছেন ঝুট ব্যবসায়ী ও গোডাউন মালিকরা।
কালিয়াকৈর রেঞ্জের চন্দ্রা বিট, মৌচাক বিট ও বাড়ইপাড়া বিট এলকায় স্থাপিত অধিকাংশ ঝুটের গোডাউন গড়ে উঠেছে সরকারি শালবনের জমি দখল করে। অভিযোগ রয়েছে, বন বিভাগের এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তার সঙ্গে যোগসাজশে ঝুট ব্যবসায়ীরা বনভূমি দখল করে গোডাউন নির্মাণ করেন।বন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ঝুট ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে দখলকৃত বনভূমিতে গোডাউন নির্মাণ করে।
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের কর্মী মোতালেব হোসেন ও শামীম ইকবাল জানান, এক সময় শালবনের কারণে গাজীপুরকে ভাওয়াল গঢ় বলা হতো। কিন্তু দিন দিন সেই ভাওয়াল গঢ়ের মূল্যবান শালগাছ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। বনে বসবাসরত হরেক রকমের পশু-পাখি এখন আবাসস্থল হারিয়ে খাদ্য সংকটে লোকালয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ধ্বংসের মুখে চলে যাচ্ছে ভাওয়াল গঢ়।
কালিয়াকৈর বন বিট কর্মকর্তা শরীফ-উর রহমান খান চৌধুরী ঝুটের আগুনে বনের গাছ পোড়ার কথা স্বীকার করে বলেন, বর্তমানে কোথাও আগুন নেই। শুধু ধোঁয়া আছে। তবে এ ব্যাপারে সঠিক তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
প্রতিকূলতা ও বনদস্যুদের কবলে পড়ে প্রতিনিয়ত কমে আসছে গাছপালার সংখ্যা। এর ফলে আবাসস্থল হারাচ্ছে বনের পশু পাখি। খাদ্য সংকট ও বসবাসের স্থান হারিয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করেছে বনের পশু-পাখিগুলো।