ঢাকা, ২৬ মে রবিবারঃ রূপকথা নয়, খাঁটি করুন বাস্তবতার দেখাই মিলেছে রাজধানীর অভিজাত গুলশানের ততোধিক অভিজাত শপিং মল ‘পিংক সিটি’তে। আজ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ঢাকা বিভাগীয় প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক, মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের তত্ত্বাবধানে সহকারী পরিচালক আতিয়া সুলতানা ও আফরোজা রহমানের নেতৃত্বে বাজার অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে পিংক সিটি শপিং মলের একাধিক দোকানে রাজধানীর চকবাজার ও বুড়িগঙ্গা সংলগ্ন জিঞ্জিরার তৈরি পণ্যসমূহ বিদেশি মোড়কে বাজারজাত ও বিক্রির প্রমাণ মেলে। যেসব ব্যবসায়ী তাঁদের প্রতিষ্ঠানে বিদেশি শাড়ি বা কসমেটিকস বলে পণ্য বিক্রি করছিল তারা আমদানির পক্ষে কোন প্রমাণ দেখাতে পারেনি।একাধিক খেলনার দোকানে ‘মেড ইন চায়না’ লেখা স্টিকার সাঁটানো থাকলেও বিক্রয়কর্মীরা স্বীকার করেছে এসবই চকবাজার, জিঞ্জিরা থেকে সংগৃহীত!
এছাড়া পুরো শপিং মলে, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুসারে ভোক্তাকে প্রতিশ্রুত সেবা না দেওয়া, স্বর্ণ ও অলংকারের দোকানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার চিত্র দেখা যায় অভিযান চলাকালীন। একাধিক অপরাধে পিংক সিটির ২৬টি দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে সর্বনিম্ন ৫ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানে, জেমস গ্যালারিকে ৫০ হাজার, সেলিব্রেশনকে ৫০ হাজার, পরী শাড়িকে ১০ হাজার, ডানহিল অপটিক্সকে ১০ হাজার, ভিবা বাড়িকে ১০ হাজার, সাবরিনাকে ১০ হাজার, মানা বিকে ১০ হাজার, নিডেন ওয়ার্ককে ১০ হাজার, শোভা ফেব্রিক্সকে ১০ হাজার, কুন্দনকে ১০ হাজার, রেইনবো পারফিউম অ্যান্ড কসমেটিক্সকে ১০ হাজার, পরিণীতা গোল্ডকে ১০ হাজার, ডালিমসকে ১০ হাজার টাকা, স্রোতধারাকে ১০ হাজার, কিডস ওয়েকে ১০ হাজার, হীরা ফেব্রিক্সকে ৫ হাজার, গোল্ডেন ওয়াল্ডকে ১০ হাজার, অঞ্জলি জুয়েলার্সকে ১০ হাজার, সাবিহা ফ্যাশন ১০ হাজার, ভিভো ১০ হাজার, সিমরান ডিজাইনারকে ৫ হাজার, গয়না ঘরকে ৫ হাজার, স্টাইল ওয়ার্ল্ডকে ২০ হাজার, আব্রুজ ৫ হাজার, কিওর জুয়েলার্স ১০ হাজার, বায়েজিদ এন্টারপ্রাইজ ১০ হাজার টাকা। সর্বমোট ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, ‘পরবর্তীতে এ ধরনের অপরাধ করলে আইন অনুযায়ী তাদের দ্বিগুণ জরিমানাসহ সিলগালা করে দেয়া হবে।’