নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ
ক্যাবের সাবেক সভাপতি ও জ্বালানি উপদেষ্টা ড. শামসুল আলম বলেছেন, যে প্রবিধানের আলোকে মূল্য নির্ধারণ করা হয়, সে প্রবিধান অনুযায়ী গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির পরিবর্তে কমে যায়। সুতরাং মূল্য বৃদ্ধি প্রশ্নই আসে না বলে মনে করেন
মঙ্গলবার রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি বিষয়ক শুনানির দ্বিতীয় দিনে একথা বলেন তিনি।
সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানির গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের যৌক্তিকতা তুলে ধরা হয়। সেখানে বলা হয়েছে খুলনা, যশোরসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাঁচ জেলার গ্রাহকদের দুই চুলার গ্যাসের দাম ৯৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৮০ টাকা এবং এক চুলার গ্যাসের দাম ৯২৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৯০ টাকা করার সুপারিশ করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি।
কারিগরি কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, বিদ্যুৎ খাতে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ৪ টাকা ৪৪ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৫ টাকা ৩৪ পয়সা, ক্যাপটিভে ১৩ টাকা ৮৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১৫ টাকা ৫০ পয়সা, সারে ৪ টাকা ৪৪ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৫ টাকা ৩৪ পয়সা, চা শিল্পে ১০ টাকা ৭০ পয়সা বাড়িয়ে ১২ দশমিক ৬৫, বাণিজ্যিকে ২৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৭ টাকা ৬০ পয়সা, সিএনজিতে ৪৩ থেকে বাড়িয়ে ৪৯ টাকা ৫০ পয়সা করার সুপারিশ করেছে কারিগরি কমিটি।
এছাড়া মিটারযুক্ত চুলার ক্ষেত্রে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ১২ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১৮ টাকা করার সুপারিশ করা হয় শুনানিতে।
ক্যাবের সিনিয়র সহ সভাপতি প্রফেসর ড. শামসুল আলম কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে আরো বলেন, তাদের কল্যাণে দাম নির্ধারণের বিধান অনুযায়ী জানা যায় ‘মূল্য বৃদ্ধি নয় বরং মূল্য কমে যায়।’