ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
সিরাক বাংলাদেশ নামে একটি এনজিওর প্রলোভনে পড়ে শৈলকুপা উপজেলার শৈলকুপা পৌরসভার অর্ধ শতাধিক মানুষ তাদের জমানো টাকা হারিয়েছেন। বেশি ঋণের আশায় তারা অন্য এনজিওর কাঝ থেকে টাকা এনে জমা দিয়েছিলেন এখানে। কিন্তু ৭ দিন যেতে না যেতেই অফিস বন্ধ করে পালিয়ে গেছেন এনজিওর কর্মকর্তা। শুধু তাই নয়, উপজেলার কয়েকটি গ্রাম থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন মোটা অংকের টাকা।
শৈলকুপার বিভিন্ন গ্রামের দিনমজুর ও অসচ্ছল পরিবারকে মোটা অংকের ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় দেড় কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে।
জানা গেছে, সিরাক বাংলাদেশ ২৫ সেপ্টেম্বর তাদের অফিসের কার্যক্রম শুরু করে। ১ অক্টোবর ঋণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে টাকা আদায় শুরু করে। কিন্তু নির্ধারিত দিনে গ্রাহক অফিসে গিয়ে দেখতে পান গেটে তালা ঝুলছে।
গ্রাহকরা বলছেন, সাজানো-গোছানো অফিস আর সাইনবোর্ড দেখে তারা টাকা জামানত রেখেছেন। সহজ শর্তে ঋণের আশায় কেউ কেউ পাঁচ হাজার থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত জামানত রেখেছেন। এখন টাকা ফেরত পাওয়ার আশায় প্রতিদিন তালাবদ্ধ অফিসের সামনে গিয়ে ভিড় করছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, শৈলকুপা পৌরসভার সিটিকলেজ রোডের গ্রিস প্রবাসী আকবর হোসেনের বাড়ি ভাড়া নেয় এনজিও নামধারী একদল প্রতারক। কবিরপুর এলাকার সিটি কলেজ সড়কে একটি একতলা বাড়ির মূল ফটকের সামনে সাইনবোর্ড। তবে ফটকটি তালাবদ্ধ। সাইনবোর্ডটিতে লেখা আছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সিরাক বাংলাদেশ, ক্ষুদ্র ঋণ দান ও কুটির শিল্প প্রকল্প’। অফিসের সামনে দুই একজন আসা-যাওয়া করছেন। তারা ঋণ পাওয়ার আশায় টাকা জামানত রেখে এখন ঘুরছেন।
স্থানীয়রা জানায়, মাসিক চার হাজার টাকায় বাড়িটি ভাড়া নেয় তারা। এক বছরের টাকা অগ্রিম দেওয়ার কথা ছিল। গত মাসের ২৫ সেপ্টেম্বর বাসার গেটে সিরাক বাংলাদেশ নামে একটি সাইনবোর্ড লাগায় তারা। ১ অক্টোবর তাদের ঋণ দেওয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন করার কথা ছিল।
জানা গেছে, এক সপ্তাহে তারা কয়েকশ মানুষের কাছ থেকে ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়ার নাম করে ৫-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়েছে। এ ঘটনায় শৈলকুপা থানায় এনজিও কর্মী নাজমুলকে প্রধান আসামি করে উপজেলার হড়রা গ্রামের প্রতারণার শিকার রুহুল আমিন মামলা দায়ের করেছেন।