ঢাকা, ২১ জুন শুক্রবারঃ গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর গ্রীন রোডে দুপুরে, র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত মেয়াদোত্তীর্ণ, নকল ও বিক্রি নিষিদ্ধ ওষুধের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছেন। রাত ৯ টা পর্যন্ত পরিচালিত এ অভিযানকালে, ১৬টি ফার্মেসিতে বিভিন্ন অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ায় ২৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসময় একজনকে তিনমাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এসময় একটি ফার্মেসিতে তিন মাস আগে মেয়াদ শেষ হওয়া ওষুধ পাওয়া যায়। অন্য ফার্মেসিগুলোতে মেয়াদোত্তীর্ণ বিভিন্ন ওষুধ পাওয়া যায়। ভ্রাম্যমান আদালত সেভ ফার্মাকে দুই লাখ ৫০ হাজার, রিয়েল ফার্মাকে দুই লাখ, শাহীন ড্রাগকে দুই লাখ, গ্রীন ফার্মেসিকে সাত লাখ টাকা, সেভেন ইলেভেন ড্রাগকে তিন লাখ, ওয়ান ফার্মা, তাজ ফার্মা, স্টার ফার্মা, ডিসেন্ট ফার্মা ও আল-রাজি মেডিক্যাল স্টোরকে দেড় লাখ, সারম্যান-বারডেম ফার্মা, রাসেল ফার্মেসি, মেডিসিন কর্নার ও এবিসি ফার্মাকে এক লাখ, হক ডিপার্টমেন্টাল, হক ফার্মেসি, তাজওয়ার ফার্মাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও তাৎক্ষণিক আদায় করেন এবং একটি ফার্মেসি সিলগালা করা হয়েছে।
ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম জানিয়েছেন, ‘একটি দোকান ছাড়া সব দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া গেছে। যেগুলো তারা বিক্রি করত। এছাড়া কিছু অনুমোদনহীন ওষুধ পাওয়া গেছে যেগুলো দেশের আইনে বিক্রয় নিষিদ্ধ এবং অনুমোদন ছাড়া বিক্রি করছিল। এছাড়া যে তাপমাত্রায় ওষুধ রাখার কথা কিছু দোকানে সেটা পাওয়া যায়নি। দুই ফার্মেসির লাইসেন্সে সমস্যা পাওয়া গেছে এবং কিছু দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ খাবারও পাওয়া গেছে। সেগুলো জব্দ করা হয়েছে। তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। ১৫ দিন পরে দোকানগুলো ফলোআপ পরিদর্শন করা হবে আসলেই তারা কতটুকু পরিবর্তন হয়েছে।’
উল্লেখ্য যে, গত ১৮ জুন, উচ্চ আদালতের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ দেয়া এক আদেশে, সারাদেশে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণ ও বিক্রি বন্ধ এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ প্রত্যাহার ও ধ্বংস করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলেছেন। এর প্রেক্ষিতে এই অভিযান সমগ্র দেশজুড়ে পরিচালিত হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন সাধারণ মানুষ।