আসন্ন রমজান ও গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী (বীর বিক্রম)। তিনি বলেছেন, আমাদের সক্ষমতা থাকলেও অহেতুক বিদ্যুৎ অপচয় করা যাবে না। যারা বিদ্যুৎ উৎপাদন বা অন্যান্য জরুরি কাজে নিয়োজিত তাদের দ্রুত করোনার টিকা নিতে হবে।
গতকাল রোববার আসন্ন রমজান ও চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির সার্বিক বিষয় নিয়ে অনলাইনে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিলসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গ্রাহক হয়রানি যেন না হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। ওভার লোডের সমস্যা দ্রুত সমাধান করতে হবে। বিতরণ কার্যক্রমে গ্রাহক সম্পৃক্ততা বাড়ানো প্রয়োজন। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চাহিদামতো গ্যাসের সরবরাহ করার জন্য পেট্রোবাংলাকে নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজনে বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে।
সভায় আসন্ন রমজান মাসে ও গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রগুলো গ্যাস সরবরাহ অব্যাহত বা বৃদ্ধিকরণ; পিক আওয়ারে (সন্ধ্যাকালীন) চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ইফতার, তারাবির নামাজ ও সাহরি সময়ে লোডশেড যেন না হয় সেদিকেও লক্ষ রাখতে হবে। লোডশেড করার প্রয়োজন হলে আগেই লোডশেডিং সম্পর্কে জনসাধারণকে অবহিত করতে হবে এবং টেকনিক্যাল কারণে বা অন্য কোনো কারণে যেন লোডশেড না হয়, সেদিকে সজাগ থাকতে হবে।
ভার্চুয়াল এই সভায় অন্যান্যের মাঝে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আনিছুর রহমান, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) চেয়ারম্যান মে জে মঈন উদ্দিন (অব.), পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান এ বি এম আবদুল ফাত্তাহ, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দফতর প্রধানরা সংযুক্ত ছিলেন।