ডিজেল-কেরোসিনের দাম বাড়ার প্রতিবাদে চলমান পরিবহন ধর্মঘটে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে বন্ধ রয়েছে পণ্য খালাসের কাজ।
শুক্রবার (৫ নভেম্বর) ভোর থেকে বন্দরে পণ্য খালাসের কোনো গাড়ি ঢুকতে বা বের হতে দেখা যায়নি। তবে বন্দর থেকে বিভিন্ন ডিপোতে আমদানি-রপ্তানি পণ্য আনা-নেওয়া হচ্ছে এবং বন্দরের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
গত বুধবার (৩ নভেম্বর) রাতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়। নতুন দাম ভোক্তা পর্যায়ে ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করা হয়। যা কার্যকর হয় ওইদিন রাত ১২টা থেকে।
এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার পরিবহন খাতের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে শুক্রবার সকাল ছয়টা থেকে সারাদেশে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। ডিজেল-কেরোসিনের বর্ধিত দাম প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে বলেও জানান তারা।
এদিকে ধর্মঘটের কারণে চট্টগ্রামের বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে বের হওয়া লোকজন পড়েছেন ভোগান্তিতে। নগরের মোড়ে মোড়ে গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে যাত্রীদের। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে যাত্রী না পেয়ে বেশি দামে রিকশায় কিংবা পায়ে হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দেন অনেকে।
একই সময়ে দেশের প্রায় ৯২ ভাগ আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের নিয়ন্ত্রক চট্টগ্রাম বন্দরে সকাল ছয়টা থেকে বন্ধ রয়েছে পণ্য খালাস কার্যক্রম। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান না হলে পণ্যজটের আশঙ্কা করছেন বন্দর সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, পরিবহন ধর্মঘটের কারণে বন্দরে পণ্য ডেলিভারি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে স্বাভাবিক রয়েছে বন্দরের বাকি কার্যক্রম। জাহাজে মালামাল লোড-আনলোড স্বাভাবিক রয়েছে। এছাড়াও বন্দর থেকে বিভিন্ন ডিপোতে মালামাল আনা-নেওয়া হচ্ছে।