ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশে চলমান টিকা কর্মসূচিতে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। তাই দেশের অধিকাংশ কেন্দ্রেই টিকা প্রত্যাশীদের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ অবস্থায় চাপ সামলাতে সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও (শুক্রবার) টিকাকেন্দ্র চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) পরিচালক ডা. শামসুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য গণটিকা কার্যক্রমকে ঘিরে দেশব্যাপী বিপুল উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে এবং ভ্যাকসিনেশন সেন্টারসমূহে মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও টিকার চাহিদা পূরণে আগামীকাল শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সারাদেশের সকল কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন সেন্টার খোলা রেখে এবং প্রয়োজনে অতিরিক্ত কেন্দ্র/ বুথের মাধ্যমে টিকাদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, চলমান কোভিড-১৯ মহামারি নিয়ন্ত্রণকল্পে মোট জনসংখ্যার ৭০% জনগোষ্ঠীকে ১ম ডোজের আওতায় আনতে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী ‘একদিনে এক কোটি কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম’ হাতে নিয়েছে সরকার। এ বিশেষ কার্যক্রমের মধ্যে দিয়ে সরকার দেশের সকলকে ১ম ডোজ কোভিড-১৯ টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। পরবর্তীতে দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ প্রদান কার্যক্রমও জোরদার করা হবে।
এ কার্যক্রমের আওতায় জনসাধারণের টিকা গ্রহণ সহজতর করতে নিবন্ধিত/ অনিবন্ধিত সকলেই ১ম ডোজ টিকা গ্রহণ করতে পারবেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, গ্রামাঞ্চলে ন্যূনতম ১৬০০০টি ও শহরাঞ্চলে (পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশন) ৮৫০০টি অস্থায়ী টিকাকেন্দ্রের মাধ্যমে টিকা প্রদান করা হবে। প্রায় ৭০ হাজারের মতো ভ্যাক্সিনেটর ও স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করে যাচ্ছেন এ কর্মসূচি সফল করার জন্য। এছাড়াও স্থানীয়ভাবে প্রয়োজন অনুযায়ী সকল ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা, বিভাগসমূহে চাহিদা মোতাবেক বুথ, ভ্যাক্সিনেটরের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।