ট্যানারি মালিকদের ৪৬২ কোটি টাকা ঋণ দেবে রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংক। এছাড়া বেসরকারি খাতের ইসলামী ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, দি সিটি ব্যাংকও বরাদ্দ রেখেছে ঋণ।
তবে পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিবছরের চামড়া থাকে ৫০০ কোটি টাকার ঋণ বরাদ্দ রাখা হলে তা বিতরণ হয় ২০% এর নিচে।
গত বছর চামড়া কেনার জন্য ব্যাংকগুলো ৬৪৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ রেখেছিল। তবে বিতরণ হয়েছিল মাত্র ৬৫ কোটি এক লাখ টাকা।
ঋণ বিতরণ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, প্রতিবছর ব্যাংগুলো থেকে বলা হয় ৫০০ কোটি, ৬০০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে। কিন্তু আমরা পাই মাত্র ৬০/৬৫ কোটি টাকার মতো। তিনি বলেন, গত বছর ৬৪৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখলেও আমরা পেয়েছি মাত্র ৬৫ কোটি টাকা।
তিনি আরও বলেন, এই খাতের সংকট কাটিয়ে উঠতে হলে নতুন করে ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকা অর্থায়ন করা প্রয়োজন।
এদিকে ব্যাংকগুলো বলছে, ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ না করার প্রবণতার কারণে ঋণ বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও প্রদান করা হয় না তাদের।
কোরবানির চামড়া ক্রয় বিক্রয় যেমন আন্তর্জাতিক বাজারের উপর নির্ভর করে তেমন নির্ভর করে ব্যাংকের ঋণ দেওয়ার উপায়।
সাধারণত ব্যাংক ঋণ দেয় ট্যানারি মালিকদের। এই ঋণ আশানুরূপ না পেলে কিংবা একেবারেই না পেলে তারা ঝুঁকি নিয়ে চামড়া সংগ্রহ করতে নিষেধ করেন আড়তদারদের। অনুরূপভাবে আড়তদাররা নিষেধ করেন মৌসুম ব্যবসায়ীদের। আর এভাবেই চামড়ার বাজার ধস নামে।
প্রসঙ্গত চামড়া খাতে সবচেয়ে বেশি ঋণ বিতরণ করে সরকারি সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, বেসিক ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল) ব্যাংকগুলো।