তিন প্রতিষ্ঠানে করোনা শনাক্তের নকল কিট, রি-এজেন্ট জালিয়াতির মাধ্যমে নতুন করে মেয়াদ বাড়িয়ে বিক্রির অভিযোগে অভিযান চালায় র্যাব। এসময় মূলহোতাসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে প্রায় চার ট্রাক অনুমোদনহীন, মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভেজাল টেস্ট কিট, রি-এজেন্ট জব্দ করা হয়।
র্যাব জানিয়েছে, নকল টেস্ট কিটগুলো সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সরবরাহ করত চক্রটি। এছাড়া তাদের কাছে মেয়াদোত্তীর্ণ প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিটও পাওয়া গেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন:
- বায়োল্যাব ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের স্বত্ত্বাধিকারী মো. শামীম মোল্লা (৪০),
- ব্যবস্থাপক মো. শহীদুল আলম (৪২),
- প্রধান প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল বাকী ছাব্বির (২৪),
- অফিস সহকারী মো. জিয়াউর রহমান (৩৫),
- হিসাবরক্ষক মো. সুমন (৩৫),
- অফিস ক্লার্ক ও মার্কেটিং অফিসার জাহিদুল আমিন পুলক (২৭),
- সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার মো. সোহেল রানা (২৮),
- এক্সন টেকনোলজিস্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের এমডি মো. মাহমুদুল হাসান (৪০),
- হাইটেক হেলথ কেয়ার লিমিটেডের এমডি এস এম মোজফা কামাল (৪৮)।
শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে র্যাব কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-২ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার।
তিনি বলেন, ‘গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারি কিছু অসাধু প্রতিষ্ঠান অনুমোদনহীন মেডিকেল ডিভাইস আমদানি, ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ করোনার টেস্টিং কিট ও রি-এজেন্টসহ অন্যান্য রোগ নির্ণয়ে ব্যবহৃত বিভিন্ন রোগের টেস্টিং কিট ও রি-এজেন্ট মজুত এবং বাজারজাত করছে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত রাজধানীর মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়া ও বনানীতে টানা অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’