ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে ব্যবসায়ীদের কিছু অসামঞ্জসতা উঠে এসেছে, যার পরিপেক্ষিতে ক্রয়-বিক্রয়ে চালান রশিদ বা অন্য কোনো প্রমাণক সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। সম্প্রতি নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েও দিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩-এর ধারা ৩৮ অনুযায়ী খাদ্যপণ্য বা খাদ্য উপকরণ উৎপাদন, আমদানি, প্রক্রিয়াকরণ, মজুত, সরবরাহ বা বিক্রয় সংশ্লিষ্ট পক্ষের নাম ও ঠিকানা সংবলিত রশিদ বা চালান সংরক্ষণ করা বাধ্যতামূলক। রশিদ বা চালান ব্যতীত খাদ্য ব্যবসা পরিচালনা করা নিরাপদ খাদ্য আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ। এ আইন অমান্যকারী এক বছরের কারাদণ্ড বা দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, খাদ্যপণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে রশিদ বা চালান বা অন্য কোনো প্রমাণক (যদি থাকে) সেটা তিনমাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে হবে। এছাড়া চালানে খাদ্য ব্যবসায়ীর নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর, ক্রেতার নাম, ঠিকানা ও মোবাইল, খাদ্যের পরিমাণ, চালান শনাক্ত করার স্মারক নম্বর, লেনদেন/সরবরাহের তারিখ অবশ্যই উল্লেখ থাকতে হবে।
সংস্থাটি বলছে, সব খাদ্য ব্যবসায়ী বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শককে রশিদ বা চালান বা প্রমাণক প্রদর্শন করতে বাধ্য থাকবেন।