দেশে করোনার চিকিৎসা সুবিধা পর্যাপ্ত নয়। অথচ করোনাসহ অন্যান্য চিকিৎসায় বরাদ্দের প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা পড়ে আছে অব্যবহৃত। চিকিৎসায় বিদেশি সহায়তার অর্থও খরচ হচ্ছে না। সরকারি বরাদ্দ থেকেও খরচ হয়েছে নামকাওয়াস্তে। উন্নয়ন প্রকল্প (এডিপি) বাস্তবায়নে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সক্ষমতার অভাবেই এ অবস্থা হয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয় ১১ হাজার ৯৭৯ কোটি টাকা। করোনার বাস্তবতা বিবেচনায় আরও বেশি বরাদ্দের প্রয়োজন ছিল বলে তখন বিশেষজ্ঞদের পক্ষ থেকে বলা হয়। সে সময় সমকালকে এক সাক্ষাৎকারে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছিলেন, অর্থ কোনো সমস্যা নয়। বাস্তবায়নই প্রধান সমস্যা। মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করতে পারলে আরও অর্থ দিতে প্রস্তুত রয়েছে সরকার।
করোনাকালে অগ্রাধিকার বিবেচনায় চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থই ছাড় করা হয়েছে স্বাস্থ্য খাতে। এটার হার ৯৫ শতাংশ। অথচ বৃহৎ বরাদ্দপ্রাপ্ত ১৫ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে এডিপি বাস্তবায়নে সবচেয়ে পেছনে রয়েছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। সরকারের ৫৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে এডিপি বাস্তবায়নের দিক থেকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অবস্থান ৩৮তম।
চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত গত ৯ মাসে করোনা চিকিৎসাসহ বিভিন্ন এডিপি বাস্তবায়নে এই বিভাগ মোট বরাদ্দের মাত্র ২১ শতাংশ ব্যয় করতে সক্ষম হয়েছে। বৃহৎ বরাদ্দপ্রাপ্ত এই ১৫ মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন গড়ে ৪২ শতাংশেরও বেশি। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রতিবেদন থেকে এ চিত্র পাওয়া গেছে।