চীনের উপহার ৫ লাখ ডোজ করোনার টিকা আগামী বুধবার (১২ মে) দেশে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। সোমবার (১০ মে) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান তিনি।
লি জিমিং বলেন, জি টু জি কিংবা বাণিজ্যিকভাবে বাংলাদেশে টিকা দিতে প্রস্তুত চীন। কিন্তু শুধু সিনোফার্ম কোম্পানিকে বাংলাদেশ সরকার জরুরি অনুমতি দেওয়ায় জটিলতা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার সিদ্ধান্ত নিতে দেরি না করলে আরও আগেই চীনের টিকা পেতে পারতো।
করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশসহ ৬ দেশের জোট তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে চীন কিন্তু ভারত এখনো জোটে যোগ দিতে প্রস্তুত নয়।
গত কয়েকদিন আগেই দেশে চীন ও রাশিয়ার ভ্যাকসিন উৎপাদনের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এ সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, রাশিয়া ডকুমেন্ট পাঠিয়েছে, আমাদের রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে তারা তাগাদা দিচ্ছে। রাশিয়ার ডকুমেন্ট স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আছে। আমরা রাশিয়া এবং চীনেরটা যৌথভাবে উৎপাদন করতে চাই, তবে এ প্রক্রিয়ায় সময় লাগবে কিছুটা। আজ চুক্তি হলো কাল হয়ে যাবে এমনটা না। তবে আমরা খুব দ্রুত পেতে চাই।
এর আগে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার সরবরাহ সংকটে টিকাদান কার্যক্রম নিয়ে জটিলতার মধ্যে দ্রুত রাশিয়া ও চীনের টিকার অনুমোদন দেয় সরকার।
ভোক্তাকণ্ঠ/এনএইচ