সরকারঘোষিত লকডাউনের মেয়াদ সাত দিন বাড়িয়ে ১৪ তারিখ পর্যন্ত করা হয়েছে। এ সময়ে ঘর থেকে বের হতে মানা, দোকানপাট ও গণপরিবহন বন্ধ। লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
খেটে-খাওয়াসহ মধ্যম আয়ের মানুষরা ভোগান্তিতে পড়েছে। তাই জীবিকার প্রয়োজনে অনেকে চুপিসারে হলেও কিছুটা উপার্জন করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে।
সেলুন, টেইলার্স, স্টেশনারি, কাঠমিস্ত্রির দোকান, গ্লাসের দোকান, রঙের দোকান, সিরামিকসের দোকান, ছোটখাটো মুদি দোকান, কনফেকশনারি সহ অনেক দোকানই খোলা রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
মূল শাটার গুলোর অর্ধেক খোলা রেখে বিক্রি চলছে। ক্রেতারা খোলা অংশে গিয়ে ডাক দিলেই ভেতর থেকে সাড়া মিলছে। পুলিশের টহল গাড়ি এলেই সঙ্গে সঙ্গে শাটারগুলো নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দোকানের শাটার কিছুটা খোলা আবার অনেক দোকানের শাটার বন্ধ। ক্রেতারাও আসছেন, কথা বলছেন দোকানকর্মীর সঙ্গে।
দামদরে মিললে বা প্রয়োজনীয় পণ্য থাকলে ক্রেতাকে নিয়ে দোকানে ঢুকে শাটার নামিয়ে দিচ্ছেন। কিছু সময় পরে প্রয়োজনীয় পণ্য নিয়ে আবার বেরিয়ে আসছেন ক্রেতা।
লকডাউনে এভাবেই কাজ করছে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষরা। দোকান বন্ধ থাকলে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি হবে। শুনেছিলাম লকডাউন হবে সাত দিন। এখন আবার আরও সাত দিন বাড়িয়েছে।
যদি এ মাসের পুরো সময় লকডাউন হয়, দোকান বন্ধ থাকে, তবে আর্থিক ক্ষতি কাটানো কষ্টকর হয়ে যাবে। তাই, চুপিসারে দোকান খোলা রাখতে হচ্ছে। যদিও কাস্টমার একবারেই কম, তবুও দু-এক জন আসেন মাঝে মধ্যে।