অনলাইন ডেস্ক: সুনামগঞ্জের ছাতকে টেংরাটিলা গ্যাস কেন্দ্রে বিস্ফোরণের ঘটনায় কানাডিয়ান কোম্পানি নাইকোকে দায়ী করে বিশ্ব ব্যাংকের আন্তর্জাতিক আন্তর্জাতিক সালিশি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের পক্ষে রায় দিয়েছে বলে জানিয়েছে সরকার।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর সেটেলমেন্ট অব ইনভেস্টমেন্ট ডিসপিউটের (ইকসিড) ট্রাইব্যুনাল থেকে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দেওয়া ওই সিদ্ধান্তের ফলে নাইকোকে এখন টেংরাটিলা দুর্ঘটনার জন্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি বাপেক্সকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ রোববার একটি ভার্চুয়াল সংবাদ ব্রিফিংয়ে মামলার রায়ের খবর প্রকাশ করেন।
সেই ক্ষতিপূরণের অংক কত হবে, তা পরবর্তী শুনানি শেষে ঠিক করে দেবে ইকসিড ট্রাইব্যুনাল। তবে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের দিয়ে প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের একটি ক্ষতিপূরণের দাবি ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করেছে। আবার ট্রাইব্যুনাল ওই ক্ষতির সঙ্গে পরিবেশগত ও স্বাস্থ্যগত ক্ষতির দিকটি যোগ করতে বলেছে।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ব্রিফিংয়ে বলেন, “গত ১০ বছরে অনেক ডেটা হারিয়ে গিয়েছে। তারপরও আমরা চেষ্টা করব আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের দিয়ে নির্ভরযোগ্যভাবে স্বাস্থ্যগত ক্ষতি ও পরিবেশগত ক্ষতি নিরূপণ করতে। এর সঙ্গে রাষ্ট্রের যে ক্ষতি হয়েছে তাও যুক্ত করা হবে।”
ছাতকের টেংরাটিলা গ্যাসক্ষেত্রের উন্নয়নে ২০০৩ সালে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে চুক্তি করে রাষ্ট্রীয় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনকারী কোম্পানি বাপেক্স। নাইকো সেখানে অনুসন্ধান কূপ খনন করার সময় ২০০৫ সালের জানুয়ারি ও জুন মাসে দুই দফা বিস্ফোরণ ঘটে।
সেই ঘটনায় গ্যাস মজুদ পুড়ে যাওয়ার পাশাপাশি বিরাট এলাকায় সম্পদের ক্ষতি হয়। সেজন্য নাইকোর কাছে ৭৪৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে পেট্রোবাংলা।
চলমান কভিড-১৯ মহামারী কেটে গেলে ক্ষতি নিরূপণের জন্য আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী। সালিশি ট্রাইব্যুনাল জানায়, টেংরাটিলায় বিস্ফোরণের ক্ষতিপূরণের বিষয়ে ফায়সালার আগে বাংলাদেশ সরকারের কাছে পাওনা অর্থ নাইকো পাবে না।