ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, সরকারি কোনো চিনিকলই বন্ধ হবে না। বন্ধ ছয় চিনিকল আধুনিকায়ন শেষে ফের চালু করা হবে।
শুক্রবার বিকেলে দেশের সবচেয়ে বড় চিনিকল চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানিতে ২০২১-২২ অর্থবছরে আখ মাড়াই মৌসুম উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার উপস্থিত থেকে চিনিকলের কেইন কেরিয়ারে আখ নিক্ষেপের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে মাড়াই মৌসুম উদ্বোধন করেন। এবার এ চিনিকলে তিন হাজার ৬০০ টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, মাড়াই কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। অবশ্যই আখের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে দেখা হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুয়ায়ী কৃষকরা যেন আখের ন্যায্য মূল্য পান, সেদিকেও খেয়াল রাখা হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, টিসিবির জন্য ট্রাক বাড়ালে হবে না, পণ্য থাকতে হবে। প্রতিটি উপজেলায় সপ্তাহে এক ট্রাক করে টিসিবির পণ্য পাঠানো হবে। কয়েক মাসের মধ্যে ১০০ ট্রাক বাড়াতে পারব। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে তেল, ডাল ও চিনি আনতে হয়। আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর নির্ভর করে পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা, চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. আরিফুর রহমান অপু, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মো. নজরুল ইসলাম সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোশারফ হোসেন জানান, মাড়াই মৌসুম শুরু করতে চিনিকলের সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। তবে চিনিকল এলাকায় আখের চাষ কম হয়েছে। এজন্য এ বছর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্ধেকে নেমে এসেছে। মিল চালু হলে চলতি বছর চিনিকল এলাকায় আখ চাষের পরিমাণ বেশি হবে।
বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের অধীন দেশের ১৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলের মধ্যে অব্যাহত লোকসানের কারণে সরকার গত বছর ছয়টি চিনিকল বন্ধ করে দেয়। চালু রাখে ৯টি। বন্ধ ছয়টি চিনিকল হলো- কুষ্টিয়া চিনিকল, পাবনা চিনিকল, পঞ্চগড় চিনিকল, রংপুর জেলার শ্যামপুর চিনিকল, গাইবান্ধা জেলার রংপুর চিনিকল ও দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ চিনিকল।