ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক
বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের জনবল নিয়েই চলছে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের (বিটিবি) কার্যক্রম। জনবল সংকট দিনকে দিন বাড়ছে, তাল মিলিয়ে বাড়ছে কাজেরচাপ ফলে নষ্ট হচ্ছে কাজের মাণ।
২০১৭ সালে নিজস্ব জনবল নিয়োগ দেয় বোর্ড। এখন সেখানে কর্মকর্তা আছেন ১৩ জন। এদের সাতজনই প্রেষণে এবং ছয়জন বিটিবি’র সরাসরি নিয়োগকৃত।
সূত্র জানায়, গত দুই বছরে দু’জন কর্মকর্তা বোর্ডের চাকরি ছেড়েছেন। সবচেয়ে বেশি চাপে থাকেন বোর্ডের নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক পদমর্যাদার কর্মকর্তারা। একজন কর্মকর্তাকে একইসঙ্গে একাধিক দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। নির্ধারিত ৯-৫টার বাইরেও অফিস করতে হয় তাদের। রাতে তো বটেই, বন্ধের দিনও কাজ করতে হয় অনেককে। অতিরিক্ত সময় কাজ করলেও ওভারটাইম কিংবা আর্থিক সুবিধা বরাদ্দ নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ‘বিশেষ কোনও ঘটনা কিংবা আয়োজনকে কেন্দ্র করে কাজের চাপ বেড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। কোনও উপলক্ষকে কেন্দ্র করে যদি আমাদের একটানা রাত-দিন কাজ করতে হয় তাতেও আপত্তি নেই। কিন্তু এটা যদি প্রতিদিনের চিত্র হয়, তখন কাজ করা কঠিন। কাজের চাপে সঠিক পরিকল্পনা, গুণগত মান ঠিক রাখাও কঠিন। আমরা মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত। অনেক আশা নিয়ে এখানে জয়েন করলেও সবাই ছেড়ে যাওয়ার পথ খুঁজছেন। এ ছাড়া উপায় নেই।’
জনবল সংকটের কারণে এখন বোর্ডের কর্মীরা যেমন মানসিক চাপে আছেন, তেমনি পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে গুণগত পদক্ষেপ নিতেও সফল হচ্ছে না বোর্ড। জনশক্তি বৃদ্ধির বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদ।
তিনি বলেন, আমাদের বোর্ডে মোট ২৮ জন কাজ করেন। জনবল বাড়ানোর প্রস্তাব করেছি। সরকারও বিবেচনায় নিয়েছে।
এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের জনবল বৃদ্ধির কাজ চলছে। ইতোমধ্যে ১৩টি নতুন পদ তৈরির জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পক্ষ থেকে অনুমোদন পাওয়া গেছে।
প্রতিটি জেলায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ‘ডিসট্রিক্ট ট্যুরিজম সেল’ গঠন করে একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বা সহকারী কমিশনারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।