মানুষের সমাগম বাড়লেও বাড়েনি বিক্রি ।গণপরিবহন চালুর পর শপিংমলে জনসমাগম বেড়েছে তবে বিক্রি বাড়েনি বলে দাবি বিক্রেতাদের।
বিক্রেতারা বলছেন, গতকাল (৬ মে) বাস চালু হওয়ার পর মার্কেটে লোকসমাগম বেড়েছে। যে পরিমাণে লোকজন মার্কেটে ঘুরছেন সে হিসেবে বিক্রি হচ্ছে না।
ঢাকা নিউমার্কেটের প্রবেশদ্বারগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। অনেকটা ধাক্কাধাক্কি করেই ক্রেতারা মার্কেটে ঢুকছেন। অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক পরা থাকলেও শারীরিক দূরত্বের কোনো চিহ্ন নেই। উল্টো গায়ে গা ঘেঁষে তারা মার্কেটে ঢুকছেন।
মার্কেটে আসা মানুষদের দাবি, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতেই তারা মার্কেটে এসেছেন। পছন্দের জিনিসটি ন্যায্য মূল্যে কিনতে একটু ঘোরাঘুরি করতেই হয়। ক্লান্ত অনুভব করছেন বলে বসে কিছুটা জিরিয়ে নিচ্ছেন।
কাপড় ব্যবসায়ী বলেন, আরও আগে বাস চালুর দরকার ছিল। আমাদের কাস্টমাররা তো প্রথম কয়দিন ঘুরতে আসে। এরপর কেনাকাটা করে। গতকাল থেকে কাস্টমার আসতে শুরু করেছে। বিক্রি এখনো বাড়েনি।
হাবিবুর নামের এক বেসরকারি কোম্পানির কর্মকর্তা জানান, বাচ্চার জন্য কিছু কেনাকাটা করতে এসেছেন। বাস চলাচল না থাকায় এই কয়দিন আসতে পারেননি। খুব বেশি সময় নেব না। কেনাকাটা করেই চলে যাব। মার্কেটে এত ভিড় জানলে আসতাম না।
পাইকারি বিক্রেতা বলেন, লকডাউনের কারণে আমরা শেষ হয়ে গেছি। এভাবে চলতে থাকলে পরিবার-পরিজন নিয়ে না খেয়ে পথে বসা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। আগে ঈদকে সামনে রেখে দোকানের ৯০% পণ্য বিক্রি হয়ে যেত। এবার সব মিলে ১০% পণ্যও বিক্রি করতে পারিনি।
এদিকে গণপরিবহন চালু হলেও রাজধানীর ইসলামপুরের পাইকারি দোকানগুলোতেও বিক্রি নেই বলে জানান দোকান মালিকরা। ঈদকে সামনে রেখে দোকানে বেচাকেনা ভালো হবে এমন আশা করেছিলেন ব্যাবসায়ীরা। কিন্তু বিধিনিষেধের কারণে খুব খারাপ অবস্থা। পাইকারি বিক্রি নেই বললেই চলে। মাঝেমধ্যে দুয়েকটা খুচরা বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগ মুহূর্তে যদি ব্যবসার এ অবস্থা হয় তাহলে দোকান বন্ধ করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।