যুক্তরাজ্য সরকারের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এবং দক্ষিণ এশিয়ায় কপ-২৬ বিষয়ক আঞ্চলিক রাষ্ট্রদূত কেন ও’ফ্লাহার্টি বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্যভাবে ভালো কাজ করছে। বাংলাদেশের এ অভিজ্ঞতা থেকে বিশ্ব শিক্ষা নিতে চায়।
বুধবার (১৩ অক্টোবর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এবং যুক্তরাজ্য সরকারের কপ-২৬ বিষয়ক আঞ্চলিক রাষ্ট্রদূত ও ব্রিটিশ ডেলিগেশনের মধ্যে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
কেন ও’ফ্লাহার্টি বলেন, যুক্তরাজ্য বিশ্বব্যাপী জলবায়ু কর্মকাণ্ডের জন্য প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার সহায়তা, লস অ্যান্ড ড্যামেজ, আর্টিকেল ৬ ও বিভিন্ন বিষয়সহ বিশ্বব্যাপী ঐক্যমতে পৌঁছাতে বাংলাদেশের ভূমিকা প্রশংসনীয়। ব্রিটেন কপ-২৬ এ জলবায়ু পরিবর্তনের বাস্তবভিত্তিক সমাধানের জন্য কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র জলবায়ু সহায়তায় তার অবদান দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে ব্রিটেন বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে।
এ সময় পরিবেশমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড অ্যাকশন প্ল্যান আপডেট এবং ন্যাপ প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত করছে। ২০৩০ সালের মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান প্রণয়ন করেছে। পূর্ববর্তী এনডিসির তুলনায় কার্বন নিঃসরণ কমাতে বাংলাদেশ তার লক্ষ্যমাত্রা প্রায় তিনগুণ করে আপডেটেড এনডিসি জমা দিয়েছে। পর্যাপ্ত তহবিল ও প্রযুক্তির সাহায্য পেলে বাংলাদেশ তার অবদান আরও বাড়াবে। বাংলাদেশ কপ-২৬ থেকে একটি কার্যকর ফলাফল আশা করে।
আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আহমদ শামীম আল রাজী, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মো. মিজানুল হক চৌধুরী, জলবায়ু পরিবর্তন শাখার অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিক প্রমুখ।